logo
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৬:০৫
রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ ১১ মে
আদালত প্রতিবেদক

রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ ১১ মে

রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আসামি রফিকুল ইসলামসহ (শিশু বক্তা) দুজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামি ১১ মে নতুন তারিখ ঠিক করেছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আলোচিত এই মামলাটির আজ প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল।

কিন্তু এদিন রফিকুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলেও রাষ্ট্র পক্ষ এই মামলার সাক্ষীদেরকে আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে।

যার ফলে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামিম আদালতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামি ১১ মে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

রাষ্ট্র পক্ষের এ আইনজীবী ভোরের আকাশকে বলেন ‘রাষ্ট্র পক্ষ সাক্ষীদেরকে আদালতে এসে সাক্ষী দেয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে, কিন্তু কোনো সাক্ষী আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় নতুন তারিখের জন্য আবেদন করা হয়েছে, আদালতে সময়ের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।’

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার অপর আসামি হলেন- মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।

২০২১ সালের ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তবে এ মামলায় উল্লেখ থাকা আরো তিন আসামির নামের সঠিক যাচাই পূর্বক ঠিকানা সংগ্রহ করে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। তারা হলেন মোহাম্মদ আমজাদ, মো. তাওহীদ ইসলাম ও এইচ এম লোকমান হোসেন।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

এরপর রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা জেলার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা।

২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম ইউটিউব এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের জানমাল ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করছেন।