কলকাতায় কয়েক ধাপে ৮ম বাড়ের মতো বেড়েছে পেট্রলের দাম। একইসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে ডিজেলের দামও। গ্রাহকরা আশঙ্কা করছে কয়েকদিনের মধ্যে নিত্য ব্যবহার্য এই পণ্যটির দাম একশোর গণ্ডি পার হতে পারে।
শেষ দফায় দাম বাড়তে শুরু করার ১০ দিনও পার হল না। এরমধ্যে ফের নতুন রেকর্ড গড়ল পেট্রল। বুধবার (৩০ মার্চ) কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু দাম এই প্রথম পৌঁছেছে ১১০.৫২ টাকায়। যা গত মঙ্গলবারের চেয়ে ৮৪ পয়সা বেশি। এর আগে গত ৩ নভেম্বর দাম উঠেছিল ১১০.৪৯ টাকা। এতদিন ওটাই ছিল সব থেকে বেশি।
শুধু পেট্রলই নয়, বেড়েছে ডিজেলের দামও। কলকাতায় ডিজেল লিটার প্রতি ৮০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯৫.৪২ টাকা। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে ফের ১০০ টাকা পার করে এই জ্বালানিটিও নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলবে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেকটা নিশ্চিত ছিলো।
কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হলেও ভারতে তখনই তার প্রভাব পরেনি। তেলের ধারাবাহিক দাম বাড়া শুরু হয় ২১ মার্চ থেকে। তারপর আর থামার নাম নেই। ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে তেলের দাম।
বিরোধীদের অভিযোগ, ১০ মার্চ চার রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশের পরই তেলের দাম বৃদ্ধি শুরু হয়। কেন্দ্রের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনুযায়ী দামের হেরফের হয় ভারতেও। পুরো বিষয়টিই তেল সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন ছিলো।
ফলে দাম বৃদ্ধি বা কমার সঙ্গে সরকারের কোনো হাত ছিলো না। এজন্যই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে চার রাজ্যে ভোটের সময় কেন তেলের দাম স্থির ছিল? শাসক বিজেপি-র যুক্তি, রাজ্য সরকারগুলো নিজেদের করের ওপর ছাড় দিলেই দাম কমবে তেলের।