logo
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৬:৫৬
দুই কৃষকের আত্মহত্যা: আগেও পানি দেননি সাখাওয়াত, ছিল লিখিত অভিযোগও
রাজশাহী ব্যুরো

দুই কৃষকের আত্মহত্যা: আগেও পানি দেননি সাখাওয়াত, ছিল লিখিত অভিযোগও

নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেন

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পানি না পেয়ে দুই কৃষকের আত্মহত্যার পর পালিয়ে যাওয়া বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আগেই লিখিত অভিযোগ হয়েছিল। কিন্তু বিএমডিএ গুরুত্ব দেয়নি। অভিযোগের তদন্তও হয়নি বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরীপুর ও নিমঘুটুর কৃষকরা।

স্থানীয় ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি ও নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি হয়েছিল ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর। পরের অভিযোগটি ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর। দুটি অভিযোগপত্রই গ্রহণ করেছিল বিএমডিএ। অভিযোগ দুটির রিসিভ কপিও পাওয়া গেছে। প্রথম অভিযোগপত্রে তিনজন এবং পরের অভিযোগপত্রে স্থানীয় অন্য পাঁচজন কৃষক স্বাক্ষর করেছিলেন। তারা সাখাওয়াতকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিলেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, ‘ঈশ্বরীপুর-২ গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেন কৃষকদের সঠিক সময়ে পানি দেন না। বোরো মৌসুমে তিনি পানি দিতে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করেন। ওই গভীর নলকূপ থেকে গ্রামে খাবার পানি সরবরাহেরও ব্যবস্থা আছে। সাখাওয়াত এই পানি ঠিকমত সরবরাহ করেন না। এমনকি দু একদিন পানি দেওয়া বন্ধও থাকে। প্রথম অভিযোগটি বিএমডিএ’র গোদাগাড়ী জোন-২ এ দেওয়া হয়েছিল। তাতে ফল না পেয়ে দ্বিতীয় অভিযোগটি দেওয়া হয়েছিল নির্বাহী পরিচালকের কাছে।'

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ বলেন, ‘এ রকম অভিযোগ অহরহ আসে। সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে এসেছিল কি না তা এখন মনে পড়ছে না।

দুই কৃষকের আত্মহত্যার পরও সাখাওয়াতকে রক্ষার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করছে আদিবাসী সংগঠনগুলো।

এ প্রসঙ্গে বিএমডিএ’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো করে তদন্ত করছি। রিপোর্ট দাখিল করার আগেই এসব বলা ঠিক না। আর তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা হয়েছে। সেটা পুলিশ তাদের মতো দেখবে।’