logo
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৭:১৩
বিএনপির কাজ হচ্ছে ভাঙা টেপ রেকর্ড বাজানো: হানিফ
এই টেপ রেকর্ড বাজিয়ে লাভ নাই
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির কাজ হচ্ছে ভাঙা টেপ রেকর্ড বাজানো: হানিফ

আওয়ামী লীগের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির কাজ হচ্ছে ভাঙা টেপ রেকর্ড বাজানো। তারা এখন উন্নয়ন দেখে উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে না। এখন বলছে আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রজেক্ট এর নামে দুর্নীতি করেছে। এখন তারা সকাল বিকাল একই টেপ রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি)’র সেমিনার কক্ষে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে হানিফ বলেন, তাদের দুই শীর্ষ নেতা দুর্নীতির জন্য আদালত দ্বারা দণ্ডিত হয়েছে। তাদের একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, আরেক জন হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আলীশান জীবনযাপন করছেন।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি।

হানিফ বলেন, প্রতিটি দলের একটা গঠনতন্ত্র আছে। বিএনপির গঠনতন্ত্রে কারা কারা নেতা হতে পারবে এমন কিছু ধারা ছিল। সেখানে লেখা ছিল দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে দুর্নীতিবাজ কেউ নেতৃত্ব দিতে পারবে না। তারা সেই ৭ নম্বর ধারাই পাল্টে ফেলেছে। এর মধ্য দিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের বাঁচাতে গিয়ে তারা দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে দুর্নীতিবাজ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এখান থেকে মানুষের দৃষ্টি সরানোর জন্য সারাদিন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা বলে বিএনপি। তাই আমি বিএনপিকে বলতে চাই আপনাদের এই টেপ রেকর্ড বাজিয়ে লাভ নাই।

বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্যুতের খরচ কমাতে আমাদের অনেক বাধা কাজ করে। আমাদের ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের অনেক সিস্টেম লস হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের এই সিস্টেম লস একেবারে ন্যূনতম পর্যায়ে আনতে হবে। এই সিস্টেম লস ৫ শতাংশের নিচে আনতে পারলে সরকার বিদ্যুৎ এর ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। এই সিস্টেম লস বিদ্যুতের ভর্তুকির জন্য একটা বড় কারণ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপারে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে তেলের ভিত্তিতে। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এজন্য সরকারকে সব সময় ভর্তুকি দিতে হয়। শুধু আমাদের দেশেই নয় পুরো পৃথিবীতে এটা একটা চিন্তার বিষয়। তাই এই চিন্তা থেকে বের হতে হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। উইন্ডমিল করা আমাদের দেশের জন্য কষ্টকর, কারণ আমাদের দেশের মাটি নরম। আর আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড় বেশি হয়-উইন্ডমিল এজন্য আমাদের বিদ্যুতের উৎস হিসেবে আদর্শ নয়। আর সৌরবিদ্যুতের (সোলার) ক্ষেত্রে আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে জায়গা সংকট। এর জন্য আমি মনে করি জেলা প্রশাসন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় হওয়া দরকার। এই সমন্বয়ের অভাবে যারা ইনভেস্টর আছে তারা জমি বরাদ্দ পাচ্ছে না।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই কাপ্তাই লেকের কী দরকার! সেটাকে ভেঙে ফেলেন। কাপ্তাই লেকের এই বিশাল এলাকায় সোলার প্যানেল বসিয়ে আরো বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। আর এই বিশাল এলাকায় ফসলের আবাদ করা সম্ভব।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ঢাকা) শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী।