logo
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৮:৪৭
সরকারি অর্থ আত্মসাৎ
স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক লাইন ডাইরেক্টরের ৪ বছর কারাদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক,ঢাকা

স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক লাইন ডাইরেক্টরের ৪ বছর কারাদণ্ড

ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন ও প্রধান এবং সাবেক লাইন ডাইরেক্টর মো. আনোয়ারুল ইসলাম খানকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া মামলার অপর আসামি মেসার্স বিএইচ ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মো. ইমন হাসানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আনোয়ারুল ইসলামকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া আত্মসাৎকৃত ১৯ লাখ ১২ হাজার টাকাও তাকে জরিমানা করেছে আদালত। অপর আসামি ইমনকেও কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

ইমনকেও আত্মসাৎকৃত ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আত্মসাৎকৃত টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আনোয়ারুল ইসলাম খানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইমন খান জামিনে ছিলেন। তিনি আদালতে হাজির হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

সরকারি কাজ না করে ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৩২০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের তৎকালীন সাবেক উপসহকারী পরিচালক একেএম বজলুর রশিদ রাজধানীর বনানী থানায় ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করেন।

মামলাটি তদন্তের পর দুদকের উপসহকারী পরিচালক আজিজুল হক ২০১৭ সালের ৭ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অফিসার আবু হানিফ ও সহকারী প্রধান শরিফুল ইসলাম আসামি ছিলেন। অভিযোগপত্রে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হয়।