logo
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২২ ২১:৩৩
অর্থ আত্মসাৎ ও সন্দেহজনক লেনদেনের মামলা
কেজিডিএসএল এর ঠিকাদার নেছার আহমদ কারাগারে
চট্টগ্রাম ব্যুরো

কেজিডিএসএল এর ঠিকাদার নেছার আহমদ কারাগারে

ঠিকাদার নেছার আহমদ

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিএসএল) ঠিকাদার নেছার আহমদকে অর্থ আত্মসাৎ ও সন্দেহজনক লেনদেনের মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে ঠিকাদার নেছার আহমদ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তার জামিন নামঞ্জুর করা হয়।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কেজিডিএসএল এর ঠিকাদার নেছার আহমদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য আদেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে নেছার আহমেদ আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

জানা যায়, ২০১১ সালের ২১ আগস্ট কেজিডিএসএল এর তৎকালীন ব্যবস্থাপক (পুর-নির্মাণ) আনিছ উদ্দিন সরকারি কর্মচারী হয়েও সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে কেজিডিএসএল এর নিবন্ধিত ঠিকাদার মেসার্স মেটকো কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নেছার আহমদ এবং স্ত্রী কামরুন নাহারকে নিয়ে ‘রক প্রপার্টিজ’ নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ৬৪(৩) ও ৬৩(৪) ধারা লঙ্ঘন করে নুর সিন্ডিকেট নামীয় প্রতিষ্ঠানের আড়ালে রক প্রপার্টিজ নামের প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ পাইয়ে দেন।

ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির বৈঠকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স নুর সিন্ডিকেটেকে নির্বাচন করে কার্যাদেশ প্রদানের সুপারিশ করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর কার্য সম্পাদনের জন্য নুর সিন্ডিকেটের পক্ষে নুর মোহাম্মদ ও মেসার্স রক প্রপার্টিজের পক্ষে পরিচালক নেছার আহমদ চুক্তিপত্র সই করেন। এভাবে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৩ টাকা আত্মসাৎসহ তাদের যৌথ ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে আসামিরা।

এই অর্থ আত্মসাৎ ও সন্দেহজনক লেনদেনের ঘটনায় দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহিদ আলম।

ওই মামলার আসামিরা হলেন, মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ ওরফে শামীম, তার স্ত্রী ও মেসার্স রক প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার ওরফে পলি, মেসার্স রক প্রপার্টিজ ও মেসার্স মেটকো কন্সস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেছার আহমদ এবং নিবন্ধিত ঠিকাদার ও মেসার্স নুর সিন্ডিকেটের স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদ।