দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দখল করে জমে উঠেছে ঘাস ও খড় (গোখাদ্য) বিক্রির ব্যবসা। এতে ওই স্থানে তৈরি হচ্ছে যানজট। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফুলবাড়ী পৌর শহরের ছোট যমুনা নদীর ওপর লোহার ছোট ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিমপ্রান্তের দুমুখে সড়কের একাংশ দখলে চলছে ঘাস ও খড় বেচাকেনার জমজমাট ব্যবসা।
সড়কের ওপর ঘাস ও খড় স্তূপাকারে মজুত করে রাখায় ছোট হয়ে গেছে সড়কের প্রস্থ। বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলি ও ট্রাক্টরে করে ঘাস ও খড় এসে সেগুলো সড়কের ওপরই ছোট-বড় বোঝা (আঁটি) তৈরিসহ বেচাকেনা চলছে দেদারছে।
ব্রিজের দুই প্রান্তে সড়কের ওপর অন্তত ২০ থেকে ২৫টি ছোট বড় খড় ও ঘাসের দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। সড়কের ওপরই ঘাস ও খড় রেখে বেচাকেনা করায় রিকশা-ভ্যানসহ পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে করে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তৈরি হচ্ছে অসহনীয় যানজট। একই কারণে সড়ক সংলগ্ন ব্যবসায়ীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন।
ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী রিকশাচালক সোহাগ ইসলাম ও আবু হানিফ বলেন, ব্রিজের দুই প্রান্তে সড়ক দখল করে নিয়ে ঘাস ও খড় বিক্রি করায় রাস্তাটি ছোট হয়ে গেছে। এতে করে রিকশা নিয়ে চলাচল করতে চরম কষ্ট হচ্ছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন অনেকেই।
সড়ক সংলগ্ন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. বাবু, পাপন সরকার, আব্দুল খলিল ও আল মামুন বলেন, লোহার ব্রিজের দুই প্রান্তে অস্থায়ীভাবে ঘাস ও খড়ের দোকান বসায় সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ওইসব ঘাস ও খড় ব্যবসায়ীকে পৌরসভা থেকে উর্বশী সিনেমা হলের পেছনে স্থান দেওয়ার পরও, তারা সেখানে না গিয়ে সড়কের ওপর ঘাস ও খড়ের হাট বসিয়ে ব্যবসা করছেন। এতে করে পথচারীসহ সড়ক সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগসহ ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।
ঘাস ও খড় ব্যবসায়ী শহিদুল আলম, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল আউয়াল বলেন, পৌরসভা থেকে যে স্থান দিয়েছে সেখানে প্রস্রাবের গন্ধে থাকা যায় না। সড়ক থেকে জায়গাটি সামান্য দূরে হওয়ায় ক্রেতারা সেখানে যেতে চান না। ব্রিজের কাছে খড় বিক্রিতে কারো তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে সড়ক সংলগ্ন কিছু ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
ঘাস-খড় ক্রেতা ওসিদুল ইসলাম ও সোলেমান আলী বলেন, উর্বশী সিনেমা হলের পিছনে দুর্গন্ধের কারণে সেখানে আমরা খড় কিংবা ঘাস কিনতে যাই না। সারাদিন কাজ শেষে খরচের সঙ্গে রাস্তার পাশ থেকেই সহজেই খড় ও ঘাস কিনে বাড়ি ফিরে যাই। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের জন্যই সুবিধা হয়েছে।
ফুলবাড়ী পৌর মেয়র আলহাজ মো. মাহমুদ আলম লিটন বলেন, ‘ইতিপূর্বে স্থানীয় উর্বশী সিনেমা হলের পিছনে ধান হাটিতে ঘাস ও খড় বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। এর পরও তারা যদি সড়কের ওপর বসে তা হলে দ্রুত তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।