logo
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২২ ১৪:২৪
'সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার’
ভোরের আকাশ ডেস্ক

'সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার গণতন্ত্রকে নিরাপদ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্রকে সুরক্ষা এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, যাতে জনগণ ন্যায়বিচার পায়।’

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নব-নির্মিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১২ তলা ভবন ‘বিজয় একাত্তর’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সকালে নগরীর সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

বিচার বিভাগের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্যাতিত নারী, শিশু এবং এসিড হামলার শিকারসহ সকলে যাতে সুবিচার পায় আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার বিচার বিভাগের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে এবং বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।

সরকার প্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগকে আরো শক্তিশালী করতে এবং সংবিধানের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সরকারগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়ার জন্য বিচারপতিদের সাধুবাদ জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, এই রায়ে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।’

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং এটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং বিশিষ্ট আইনজীবীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় দেওয়ায় নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘বিচারকদের সাহসী ভূমিকার কারণে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি এবং রায় বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি প্রয়োজনীয় আইন চালুসহ অবকাঠামো নির্মাণ, বিচারকদের বেতন বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাক এবং জনগণ ন্যায় বিচার পাক।’

সরকার প্রধান বলেন, সরকার বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন সম্পূর্ণ করতে তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, দেশজুড়ে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে তারা একটি ‘ল ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ইউনিভার্সিটির জন্যে একটি যথাযথ শিক্ষানীতি প্রণয়নে বিচারক ও আইনজীবীদের সহায়তা প্রয়োজন হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রীকে আদালত সংক্রান্ত নথি নিরাপদে রাখতে একটি রেকর্ড রুম তৈরিতে অর্থ বরাদ্দ দিতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী হার্ড কপি ও সফট কপি নথি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাদের একটি আধুনিক মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সারাদেশের আইনজীবীদের জন্যে আরো ভালো ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে। ৬৪টি জেলা আদালতের সবকটির আধুনিকায়নও করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার আইনজীবীদের জন্যে বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিচার চাইতে অপারগ তাদের আইনী সেবা দিতে সরকার ‘দ্য লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অ্যাক্ট- ২০০০’ প্রণয়ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নের মতো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত- সমৃদ্ধ দেশগঠনে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।