ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে (মোহাম্মদপুরের) লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এই খালে ময়লা ফেলা যাবে না। খাল পরিস্কার রাখা ও তদারকির জন্য বিশেষ টিম গঠন করা এবং সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুনরুদ্ধারকৃত লাউতলা খালের শুভ উদ্বোধন ও খাল দূষণ রোধে জনসাধারনের অংশগ্রহনমূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, রামচন্দ্রপুর-লাউতলা খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে উঠে ট্রাক স্ট্যান্ড। ১৪ বছর ধরে থাকা সেই অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড আমরা উচ্ছেদ করেছি । ২৩ জানুয়ারি ২০২২-এ আমরা খালটি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করি। খালের পানির প্রবাহ দেখতে পাচ্ছি আজ। এই খালে ময়লা ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, খাল পরিস্কার রাখা ও তদারকির জন্য বিশেষ টিম গঠন করে দেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। খাল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম ,ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিএনসিসি'র কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১ বছর আড়াই মাস আগে আমরা ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৯টি খাল বুঝে পাই। 'দখল' আর 'দূষণ' এর কবলে খালগুলো মৃতপ্রায়। খালে স্বচ্ছ পানি প্রবাহ দেখার অভিপ্রায় নিয়ে আমরা কাজ করছি।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি মানুষ এই খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে। এই খালে পলিথিন, পুরনো সোফা, কার্পেট, চটের বস্তাসহ বাসাবাড়ির সকল ধরনের ময়লা ফেলা হয়েছে। খালে ময়লা ফেলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। এই খাল দিয়ে নৌযান চলবে, মাছের চাষ হবে এবং জীববৈচিত্র রক্ষা পাবে। এর জন্য সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের সাথে জনগণেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে।
লাউতলা খাল থেকে চারটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করে রামচন্দ্রপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে পৌঁছান মেয়র।