রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন।
আগামী ২৩ মে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
এ মামলার অপর চার আসামি হলেন-পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।
পাপিয়া দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করা হয়। ২০২০ সালের ২১ মার্চ গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।