আগামী ৩ এপ্রিল থেকে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়মিত বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৫০টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
বেঞ্চের মধ্যে ২৯টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আগের ২১টি বেঞ্চ আগে যেভাবে ছিল সেভাবেই রেখে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট রুলস অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি তার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চ গঠন করে থাকেন। সাধারণত অবকাশকালীন ছুটি শেষে যখন নিয়মিত বিচার কাজ পরিচালিত হয় তখন প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ পুনর্গঠন করে থাকেন।
গত ১৭ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় সাপ্তাহিক, সরকারি ছুটি ও সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ছুটি মিলে টানা ১৭ দিনের অবকাশকালীন ছুটি। আগামী ২ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত এই ছুটি চলবে। এরপরই ৩ এপ্রিল থেকে নিয়মিত বিচার কাজ পরিচালিত হবে। তবে এ সময় জরুরি মামলা বিচারের জন্য আপিল বিভাগের অবকাশকালীন বেঞ্চ ও হাইকোর্ট বিভাগের একাধিক অবকাশকালীন বেঞ্চ বসেছিল।
এবারের অবকাশকালীন বেঞ্চ ছিল খুবই উল্লেখযোগ্য। কারণ এবারই বাংলাদেশের ইতিহাসে অবকাশকালে মৃত্যুদণ্ডের মামলার বিচারের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে ১১টি বেঞ্চ বসে। এসব বেঞ্চে বিচারের জন্য ৫৬টি ডেথ রেফারেন্স ও এ সংক্রান্ত আপিল তালিকাভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে সর্বশেষ বুধবার পর্যন্ত ৩২টি ডেথ রেফারেন্স ও সংশ্লিষ্ট আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে।