logo
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২২ ২১:১০
সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম
লিজের টাকা ও জমি ফেরতের দাবি মালিকদের
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

লিজের টাকা ও জমি ফেরতের দাবি মালিকদের

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর আরও দুই বছর পার হয়েছে। কিন্তু এখনো লিজের টাকা ও জমি ফেরত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবস্থিত সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের জমির মালিকরা। পাওনা টাকা ও জমি ফেরত পেতে মানববন্ধন করেছেন ৪০ বিঘা জমির ১৬ জন মালিক।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দাতিনাখালীতে অবস্থিত সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ২০১৬ সালে ১২ হাজার টাকা বার্ষিক চুক্তিমূল্যে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল ও ব্যবসায়ী এমদাদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের নামে জমি লিজ দেন তারা। যার মেয়াদ ছিল ২০২০ সাল পর্যন্ত।

চুক্তির মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী সময়ের জন্য জমির মালিকদের লিজের টাকা দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে জমিও ফেরত দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে ২০২০ সালেও জমির মালিকদের আগের টাকা আদায়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছিল। সেসময় ফার্মের মূল ফটক থেকে সাকিব আল হাসানের নাম মুছে ফেলা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জমির মালিকদের অগোচরে অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন লিজের টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জমির মালিকরা। তারা অবিলম্বে জমির লিজের টাকা ও জমি ফেরত পাওয়ার দাবি জানান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জমির মালিক খালেক ঢালী, এনছার ঢালী, মোহর আলী কয়াল, সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল বলেন, বর্তমানে ফার্মটির সঙ্গে সাকিব আল হাসান আর নেই। আমরা যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দিতে দুই মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই জমির মালিকরা এসব করছে।

রপ্তানিমুখী কাকড়া উৎপাদনের জন্য ২০১৬ সালে সুন্দরবন সংলগ্ন দাতিনাখালীতে সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল ও ব্যবসায়ী এমদাদ। প্রতিষ্ঠানটিতে অন্তত ২০০ মানষের কর্মসংস্থান হতো।

এর আগে, ২০২০ সালে বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মচারীরা আন্দোলনে নামলে বিসিবির হস্তক্ষেপে ও স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের মধ্যস্থতায় কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়।