logo
আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০২২ ১১:২১
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবার কানাডার পথে
শহিদুল ইসলাম, উখিয়া (কক্সবাজার)

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবার কানাডার পথে

ছবি: সংগৃহীত

দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা কানাডার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাত ১১টায় টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা রওনা হন। মুহিবুল্লাহর পারিবারিক বন্ধু মানবাধিকারকর্মী নূর খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছে। তবে ক্যাম্প প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ এই ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ।

মুহিবুল্লাহর গড়া সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, ৯ ছেলে-মেয়ে, জামাতাসহ ১১ জনকে কানাডায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। কানাডার সরকার তাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে। 

৮ এপিবিএন’র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি তিনি।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুরো পরিবারের জন্য নিরাপত্তার জোরদার করেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুরো পরিবারকে উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসে ক্যাম্প প্রশাসন।

২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মুহিবুল্লাহ (৪৮) নিহত হন। এ ঘটনার জন্য তার পরিবার শুরু থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসাকে (আরাকান স্যালভেশন আর্মি) দায়ী করে আসছে।

পরিবারের দাবি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে সক্রিয় থাকায় এবং শিবিরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে মুহিবুল্লাহর পরিবার নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে আসছিল। এ জন্য বিদেশে আশ্রয় চেয়ে তারা দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন।

মুহিবুল্লাহ উখিয়ার ১-ইস্ট লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকে থাকতেন। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন তিনি। জেনিভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থায়ও রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।