logo
আপডেট : ২ এপ্রিল, ২০২২ ১২:৫৯
অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দায়ীদের শাস্তি ও নৌদুর্ঘটনা রোধের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দায়ীদের শাস্তি ও নৌদুর্ঘটনা রোধের দাবি

অগ্নিকাণ্ডের পর অভিযান-১০ লঞ্চ। (ফাইল ফটো)

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় দায়ী সকলের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে নিহত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন এবং নৌ-দুর্ঘটনারোধে কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ ১২টি বেসরকারি সংগঠন।

আজ শনিবার (২ এপ্রিল) ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার ১০০ দিন পূর্তিতে এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা এসব দাবি জানান।

দায়ীদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বৈত অবস্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে যাত্রীভর্তি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা এই প্রথম হলেও এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি।

সরকারি ও নাগরিক তদন্ত কমিটির আলাদা প্রতিবেদনে লঞ্চের চারজন মালিক, দু’জন মাস্টার ও দু’জন ড্রাইভারসহ মোট ১২ জনকে দায়ী করা হয়; যাদের মধ্যে ফিটনেস প্রদানকারী শিপ সার্ভেয়ারসহ চার সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে মামলা দায়ের ও তাদের সাতজনকে কারাবন্দি করা হলেও চার সরকারি কর্মকর্তা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন।

তাদেরকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত না করা হলে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার তদন্ত কার্যক্রম প্রভাবিত হবে এবং তারা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে যাবেন বলে আশংকা প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে।

নদী, নৌ পরিবহন খাত, পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশের কোথাও না কোথাও একের পর এক লঞ্চসহ বিভিন্ন ধরনের নৌদুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটলেও এসব রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

এ ছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের দৃশ্যমান শাস্তি না হওয়ায় সারা দেশে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাকের ডগায় অসংখ্য অবৈধ (ত্রুটিপূর্ণ ও অনিবন্ধিত) নৌযান চলাচল করছে, যথাযথভাবে পরীক্ষা না করে চলাচলের অযোগ্য নৌযানকে ফিটনেস সনদ প্রদান ও বিভিন্ন নৌপথে চলাচলের সুযোগ দেয়া হচ্ছে; যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

বিবৃতিদাতারা হলেন- গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, প্রভারটি ইমুলিনেশন এ্যাস্ট্যিান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, কমিটি টু প্রোটেক্ট রিভার এ্যান্ড কোস্টের (সিপিআরসি) সদস্যসচিব কামরুজ্জামান নাছিম, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ ও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা।