নিজের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল্লাহ।
করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম ওয়াসার ৬৬তম বোর্ড সভায় মৌখিকভাবে নিজের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘গত সাত মাস আগে আমি আমাদের বোর্ড সভায় আমার বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলাম। সেখানে আমি বলেছি, ১০ বছর আগে আমার বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। এখনও সেই বেতনই রয়ে গেছে। আমি যদি প্রতি বছর পাঁচ শতাংশও আমার বেতন বাড়াতাম, তাহলেও এখন সেটি ৫০ শতাংশ বেড়ে যেত। কিন্তু, আমি আমার বেতনের দিকে মনোযোগ না দিয়ে কাজের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমি চিন্তাও করতাম না, আমি বেতন কত পাই। যেহেতু আমি গত ১২ বছরে নগরবাসীর পানির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি, অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, তাই আমি আমাদের বোর্ডের কাছে আমার বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু, করোনার এই সময়ে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আবেদন করা ঠিক হবে না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো নয়। তাই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল্লাহ ১৯৬৮ সালে এ প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৮ সালে অবসর নেন। ২০০৯ সালের ৮ জুলাই তাকে চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড গঠন হলে তিনি এমডি হিসেবে দায়িত্ব পান। সর্বশেষ ২০২০ সালে ১ অক্টোবর আরও ৩ বছরের জন্য তাকে এমডি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার।