অভিষেক টেস্ট অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিল তার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। বল খেলেছিলেন ১২টি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৫ বলে ছয় রান। টেস্ট অভিষেকে এমন পারফরম্যান্সে খুবই ব্যথিত ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়।
চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে সেই হতাশা কাটে। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে বাংলাদেশ পেয়েছিল ঐতিহাসিক জয়। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে জয় খেলেছিলেন ২৯২ বলে ৭৮ রানের ঝলমলে ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার প্রয়োজন পড়েনি তার। বাংলাদেশ জিতেছিল হেসেখেলে।
সেই মাহমুদুল হাসান জয় ডারবান টেস্টে দেখালেন তার ধৈর্য, কৌশল ও মেধা। সতীর্থদের বেশিরভাগ যখন যাওয়া আসার মিছিলেন ব্যস্ত, তিনি মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন চরম ধৈর্য নিয়ে। ১৭০ বলে ফিফটি করা জয় টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতক স্পর্শ করেন ২৬৯ বলে। সেঞ্চুরির ইনিংসে জয় হাঁকিয়েছেন ১০টি চার ও একটি ছক্কায়। টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় ম্যাচের মাথায় এসে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ ব্যাটার।
তার ব্যাটেই বলতে গেলে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। আগের দিনের ৪ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে শনিবার খেলতে নামে বাংলাদেশ। শুরুর দিকেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইলিয়ামসের বলে মাল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদ। ১০ বলে তিনি করেন এক রান।
এরপর জয় ও লিটনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ১৭০ বলে পাঁচ চারে ফিফটি স্পর্শ করেন জয়। তার সঙ্গে বেশ সাবলীলভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন লিটনও। দুজনের ৮২ রানের জুটির পর তাতে ভাঙন ধরান উইলিয়ামস। তার দুর্দান্ত একটি বলে বোল্ড হয়ে যান লিটন দাস।
ফলে পেতে পেতেও ফিফটির দেখা পাওয়া হল না লিটনের। ৯২ বলে তার সংগ্রহ ৪১ রান। এরপর জয়ের সঙ্গে বেশ ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে ফেরেন তরুণ এই ব্যাটার। ৩৭ বলে তিনি করেন ২২ রান। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে লড়ছেন সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয়। তার সঙ্গে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয় ৩৬৭ রানে। জবাবে সাত উইকেটে বাংলাদেশের রান এখন ২৩৫।