মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার অন্যতম 'পরিকল্পনাকারী' মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (২ এপ্রিল) বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টিপু হত্যার পরিকল্পনাকারী ছিলেন ওমর ফারুক। এরপর বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ফারুককে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, 'এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর দায়ভার কোনোভাবেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বহন করবে না। দলের নীতি ও শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক আপনাকে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে আমরা ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুককে বহিষ্কার করেছি।
গত ২৪ মার্চ নিহত টিপু এক দশক আগে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হলে তাকে পদচ্যুত করেছিল আওয়ামী লীগ। পরে তিনি মিল্কী হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেও দলীয় পদ আর ফিরে পাননি। তবে তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি মহিলা কাউন্সিলর হন।
টিপু সরকারি নানা দপ্তরের ঠিকাদারি করতেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।