logo
আপডেট : ২ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৩১
কোনো দেশের কৌশল বাস্তবায়নের হাতিয়ার হবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

কোনো দেশের কৌশল বাস্তবায়নের হাতিয়ার হবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো দেশের কৌশল বাস্তবায়নের হাতিয়ার হবে না বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাতে নিজ বাসায় কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে নৈশভোজের সময় এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রীর আমন্ত্রণে ওই নৈশভোজ হলেও পুরোটা সময়জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক ইস্যুতে নানা বিষয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তা কখনো কখনো আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনকেও ছাপিয়ে যায়।

ওইদিন সাংবাদিকরা খেতে খেতে কিংবা চায়ের কাপ হাতে কৌশলে একেকটি প্রশ্ন ছুড়েন, আর মন্ত্রী তার চিরচেনা হাসিতে উত্তর দেন।

আপনি তো শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আপনার বৈঠকটি বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কিছুদিন আগে একজন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ঢাকায় এসেছিলেন এবং অস্ত্রবিষয়ক গোপন তথ্য বিনিময় ও সুরক্ষা বিষয়ক ‘জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (জিসোমিয়া)’ এর খসড়াও বাংলাদেশকে হস্তান্তর করেছেন।

জবাবে ড. মোমেন-‘হুম, তারা চায় আমরা যেনো তাদের সঙ্গে চুক্তিটা করি। আমরা তাদের প্রস্তাব ফেলেও দেইনি। গ্রহণও করিনি। তবে আমরা কারো অস্ত্রের ভাণ্ডার সৃষ্টি করতে চাই না। কেননা আমরা শান্তি প্রিয় দেশ। সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব। অস্ত্র সংগ্রহ করলে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আসে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কোনো দেশের কৌশল বাস্তবায়নের হাতিয়ার হবে না বাংলাদেশ...এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’
‘আমরা তাদের সঙ্গে অন্যান্য ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়ে আলোচনা করতে চাই। সেটা টেকনোলজি বা এমন কিছু’।

র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো একটি বিষয় সামনে রয়েছে। নিশ্চয়ই আলোচনায় এটিও আমাদের জন্য বড় ইস্যু?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তাতো অবশ্যই। আমরা এটা তুলব। আর তারা বলবে, নিশ্চয়ই একটা প্রসেস আছে। আমরা তাদের বলতে চাই যে এ প্রতিষ্ঠানটা হওয়ায় আমাদের দেশে সন্ত্রাস কমেছে। শুধু আমাদের দেশে সন্ত্রাস নয়, আমাদের আশপাশের দেশের সন্ত্রাসটা অনেক কমে গেছে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য।’ আমরা আশা করব, তারা ইতিবাচক সাড়া দেবে...। ’

বৈঠকে তো বহু বিষয়ে ওদের সঙ্গে কথা হবে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ইস্যু, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চাওয়াসহ আমাদের বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা তো চায় আমরা এই কৌশলে যুক্ত হই। এটি একটি দর্শন মাত্র। এতে যোগ দেওয়ার কিছু নেই, আবার দ্বিমতও নেই। সব দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে চায় বাংলাদেশ।