পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার সময়সূচির পরিবর্তন হয়েছে। চালু করা হয়েছে দুই শিফট। এক শিফট সকাল ৯টা থেকে ১টা ও আরেক শিফট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে বরগুনা আমতলী উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের ৮৮নং পূর্ব কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে মানা হয় না সরকারি কোনো নিয়ম-কানুন। শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে আসেন বিদ্যালয়ে, ছুটিও দেন ইচ্ছেমতো।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর নিয়ম থাকলেও এখানে শিক্ষকরাই আসেন ৯টা থেকে থেকে ১০টায়। দুপুর একটা বাজতেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে বাড়ি যান তারা। এতে করে শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছে তাদের শিক্ষার অধিকার। আর বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শিশুরা। এমনটাই অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার দুপুর দেড়টায় ৮৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে। বিদ্যালয় একদম ফাঁকা। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা। কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, তাদের শিক্ষকরা ছুটি দিয়েছেন তাই তারা বাড়ি যাচ্ছে।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজ্জাক ওরফে টিপুকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘দুপুর একটার সময়ে স্কুল ছুটি দিয়েছি।’

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ কৈফত আপনাদের কাছে দিতে আমি বাধ্য নই। দিলে উপরস্থ কর্মকর্তাদের কাছে দেব।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, ‘রমজান মাস উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। কোনো স্কুল যদি একটার সময় ছুটি দিয়ে দেন সেটা অন্যায় করেছেন।’ খোঁজ-খবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ করে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’