যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠককে ফলপ্রসূ হিসেবে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী ৫০ বছরে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে আমরা আশাব্যঞ্জক আলোচনা করেছি।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে গতকাল সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তাদের মধ্যে এই বৈঠক হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থনদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি জর্জ বুশ কর্তৃক বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রদান সংক্রান্ত রেজুলেশনের পক্ষে ১৬ বারের মধ্যে ১৫ বারই সমর্থন দেওয়ার বিষয়ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ড. মোমেন এ সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কোটির বেশি ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতা প্রদানের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় এককভাবে বৃহত্তম সহায়তা প্রদানের কথা তুলে ধরেন।
ড. মোমেন বৈঠকে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদারে শেখ হাসিনার সরকার দৃঢ় প্রতীজ্ঞ বলেও উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।