logo
আপডেট : ৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:২৬
তুর্কি ও উইঘুর গণহত্যার জন্য চীনকে আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড়াতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক

তুর্কি ও উইঘুর গণহত্যার জন্য চীনকে আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড়াতে হবে

১৯৯০ সালে কাশগরের কাছে ব্যারেন জনপদে যে গণহত্যা ও বর্বরতা চালিয়েছিল তার জন্য চীনকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে জানিয়েছে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে তুর্কিস্থানের কাশগরের সাথে ব্যারেন বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী তুর্কি ও উইঘুর মুসলিমদের গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সেমিনার ও আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান বলেন, ‌`১৯৯০ এর ৫ এপ্রিলে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ হাজারের বেশি সৈন্য পাঠিয়ে আর্টিলারি, হেলিকপ্টার গানশিপ ও বিমান হামলা চালিয়ে পূর্ব তুর্কিস্থানের মুক্তিকামি মানুষদের ওপর ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা চালিয়েছিল।

হাজার হাজার উইঘুর ও তুর্কি জনগণকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল এবং বিদ্রোহকে পিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। আজও তার বিচার দেখতে পায়নি।'

তিনি আরো বলেন, 'ব্যারেন বিদ্রোহের পর চীন সরকার ৭৬০০ এর বেশি লোককে গ্রেফতার করে অনেককে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে এবং অন্যদের মৃত্যুদণ্ড দেয়।

আমরা মনে করি চীন সরকারকে এ গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।'

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়ে খান মাহসান বলেন, 'আপনারা চায়না সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন এবং ব্যারেন ও উইঘুর গণহত্যার জন্য তাকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করুন।'

আয়োজিত সেমিনারে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মাওলানা মো. আবু জাফর কাসেমীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঐক্যজোটের অনান্য নেতারা।