logo
আপডেট : ৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৪৯
ডায়রিয়ার প্রকোপে ওয়াসার দায় রয়েছে: তাকসিম এ খান
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডায়রিয়ার প্রকোপে ওয়াসার দায় রয়েছে: তাকসিম এ খান

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেছেন, আমার নিজের বাসার পানিতেই অনেক সময় গন্ধ পাওয়া যায়।

ডায়রিয়ার প্রকোপেও ওয়াসার দায় আছে বলে বলেন তিনি। এজন্য নগরবাসীকে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত 'নগরবাসীর চাহিদা-ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা' শীর্ষক ডুরা সংলাপে এসব কথা বলেন।

ওয়াসা এমডি বলেন, আমাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গায় মাঝে মধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দেই।

তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়া পল্টনে আমার নিজের বাসাতেই পানিতে গন্ধ আছে।

ডায়রিয়ার প্রকোপে ওয়াসার দায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইসিডিডিআরবি আমাদের ৯ টা জায়গার লিস্ট দিয়েছে যেসব এলাকায় ডায়রিয়া বেশি।

ল্যাব টেস্ট করিয়ে সেগুলোতে কোন ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। তারপরও সাবধানতা হিসেবে সে জায়গাগুলোতে আমরা ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি।

ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ওয়াসা এমডি বলেন, ঢাকায় পানির টোটাল চাহিদা ২১০ কোটি থেকে ২৫০ কোটি লিটার পর্যন্ত হয়।

আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। তাই রমজানে কোথাও পানির সংকট হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

ডুরা সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার কারিগরি পরিচালক শহীদ উদ্দিন, সচিব শারমিন এবং ডুরা নেতৃবৃন্দ।

বক্তব্যে তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা শহরের সেবা খাতগুলো সূচকের দিক থেকে নিচের দিকে থাকলেও পানি ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ওয়াসা এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে ওপরের দিকে আছে।
তিনি বলেন দেশের সার্বিক জিডিপির ৪৫ ভাগ ঢাকা থেকে আসে। ঢাকায় যদি পানি সংকট হয় তার প্রভাব সরাসরি জিডিপিতে পড়বে।

এ কারণে ঢাকা ওয়াসা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গতানুগতিকতার বাইরে এসে কর্মসূচি গ্রহণ করছে এবং নগরবাসীকে সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে।

ঢাকায় ক্রমাগত মানুষ বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় কাগজে কলমে মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ।

আমরা ২ কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে সেবা দেই। এখন আবার অনেকে বলছেন মানুষ হয়ে গেছে বর্তমানে ২ কোটি ৩০ লাখ।

এতগুলো মানুষ হুট করে বেড়ে গেলে চাহিদা পূরণ করতে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়াও কাউকে পানির আওতার বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

তাই আমরা সব বস্তিবাসীদের পানির অধিকার নিশ্চিত করেছি।