ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। দরকার ছিল দারুণ এক ইনিংসের। আর সেটা যে লিস্ট-এ ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা হয়ে যাবে, সেটা ভাবেননি হয়তো মোহাম্মদ আশরাফুল। গতকাল মঙ্গলবার বিকেএসপিতে তা হয়েও গেল। ব্রাদার্সের হয়ে করলেন সেঞ্চুরি। শুধু তাই নয়, অপরাজিত থাকলেন ১৪১ রানে। আশরাফুল চমকে তার দল ব্রাদার্সও জিতেছে ৩৬ রানে, রূপগঞ্জের বিরুদ্ধে।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম ছয় রাউন্ডে আশরাফুলের ফিফটি ছিল একটি। এক ম্যাচে করেন ১৭ রান। দুই ইনিংসে তো রানের খাতাই খুলতেপারেননি। বাকি দুই ইনিংসের একটিতে করেন ৬ রান, অন্যটিতে ফেরেন ১ রান করেন। সপ্তম রাউন্ডে ব্যাট হাতে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন আশরাফুল। সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ১১০ বলে লিস্ট-এ ফরম্যাটের নিজের ১১তম সেঞ্চুরির স্বাদ পান আশরাফুল। ১৩৯ বলের ইনিংসটি সাজান ১৬টি চার ও এক ছক্কায়। সঙ্গে মাইশুকুর রহমানের অর্ধশতক ও বিদেশি রিক্রুট চাতুরাঙ্গা ডি সিলভার ২৫ বলে ৫১ রানের ঝড়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩০৯ রানের বিশাল পুঁজি পায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
ব্রাদার্সের হয়ে ওপেন করতে নেমে ৭৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন আশরাফুল। এবারের মৌসুমে তার প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে ৩৯তম ওভারে। নাসুম আহমেদের করা সেই ওভারটির প্রথম বলে ১ রান নিয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছান তিনি। ১৪১ রানে থাকেন তিনি অপরাজিত, যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। আগেরটি ছিল ১২৭ রান। ৩১০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে রূপগঞ্জ অলআউট হয় ২৭৩ রানে। ফজলে মাহমুদ করেন সেঞ্চুরি। ১০০ বলে সমান ৪টি করে চার-ছক্কায় ১০০ রান করেন তিনি। ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব।