logo
আপডেট : ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:১২
শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, বিক্ষোভ অব্যাহত

শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, বিক্ষোভ অব্যাহত

শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা তুলে নিলেন প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে। তবে তিনি ক্ষমতাসীন জোট ও দলে ভাঙন ঠেকাতে পারেননি। অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভও অব্যাহত আছে।

দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল গত ১ এপ্রিল। এরপর প্রচুর ক্ষমতা চলে আসে সেনা ও পুলিশের হাতে। তারা বিনা বিচারে যে কোনো মানুষকে আটকে রাখার ক্ষমতা পায়।

কিন্তু তারপরও দেশটিতে সর্ব সাধারণের বিক্ষোভ থামানো যায়নি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার বিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধী দলগুলিও বিক্ষোভ করতে থাকে।

সাধারণ মানুষও পথে নেমে আসে। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এদিকে রাজাপাকসে ক্ষমতাসীন জোট ও দলে ভাঙন এড়াতে পারেননি। তার জোট ছেড়ে ৪১ জন পার্লামেন্ট সদস্য বেরিয়ে গেছেন।

তারাও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ফলে পার্লামেন্টে জোট এখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে।

অর্থমন্ত্রীর ইস্তফা:
প্রেসিডেন্টের অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন আলি সাবরি।

আইএমএফের সঙ্গে ঋণ ও অর্থসংক্রান্ত বিষয়ে তার জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনার আগেই তিনি দায়িত্ব ছাড়লেন।

আইএমএফ জানিয়েছে, তারা শ্রীলঙ্কার আর্থিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।

দূতাবাস বন্ধ:
প্রবল আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে সরকার দুইটি কনসুলেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দুইটি দূতাবাস হলো, নরওয়ে ও ইরাক। এ ছাড়া সিডনির কনসুলেট অফিসও বন্ধ করা হয়েছে।

বিক্ষোভ চলছে:
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত শনিবার থেকে এই বিক্ষোভ সমানে চলছে।

তারা প্রেসিডেন্টের ইস্তফা দাবি করছেন। এ ছাড়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ হচ্ছে। বিরোধী দলও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

বিক্ষোভকরীরা প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তা ছাড়া তারা বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সূত্র-ডয়চে ভেলে