নারায়ণগঞ্জের আদালত পাড়ায় এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কোর্ট পুলিশের কনস্টেবল আহাদ সুলতানকে সাময়িক প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. আসাদুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, ‘ঘটনা শোনার পরপরই ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে কনস্টেবল আহাদকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) মো. আমির খসরু স্যারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।’
ভুক্তভোগী ওই নারী ভোরের আকাশকে জানান, তার ছোট বোন জামাই মামুন গাড়ি চালক। একটি সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে রয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল। বোন জামাইকে দেখতে তিনিসহ তার আরও দুই বোন আদালতে আসেন। গারদ থেকে বের করে আনার সময় তারা তিন বোন আসামির সঙ্গে হাঁটছিলেন।
‘এ সময় পুলিশ কনস্টেবল আহাদ তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে একাধিকবার হাত দেন। প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও আটক করার হুমকি দেন কনস্টেবল আহাদ। পরে তার ছোট বোনের সঙ্গেও একই কাজ করেন ওই কনস্টেবল। এ সময় তারা চিৎকার করে প্রতিবাদ করলে আইনজীবীরা এগিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল আহাদ পালিয়ে যান’, বলেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এদিকে ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ওই পুলিশ কনস্টেবল ডিউটি রেখেই আদালত পাড়া থেকে পালিয়ে যান। তবে এ ব্যাপারে তিনি তার ঊর্ধ্বতন কাউকে কিছুই জানিয়ে যাননি। জানা গেছে, অপরাধ করার পর ভয়ে তিনি ডিউটি রেখেই কমলাপুর চলে যান। সেখান থেকে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রাজশাহীর ট্রেনে উঠেন তিনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানার পর ওই পুলিশ কনস্টেবলকে ফিরে আসার জন্য চাপ দেন। সন্ধ্যার পর জয়দেবপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এরপরই তাকে সাময়িক প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার।