ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে খাবারের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিত্যপণ্যের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা করা হয়।
বুধবার (৬ এপ্রিল ) ডিএনসিসি এ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে।
অঞ্চল-০৫ এর আওতাধীন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কারওয়ান বাজার এলাকায় উচ্ছেদ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বিভিন্ন ধারায় ১০টি মামলায় মোট ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-০৪ (মিরপুর-১০) ১৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় মো. আবেদ আলী আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে প্রায় ৩৭টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে দুটি হোটেলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধে জনসাধারণকে সতর্ক করাসহ প্রায় ১০০টি মাক্স বিতরণ করা হয়েছে।
অঞ্চল-০৯ এর আওতাধীন নতুন বাজার, ভাটার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়াউল বাসেত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় রাস্তার ওপরে থাকা ১০টি ফলের দোকান অপসারণ করা হয়। বাজার মনিটরিং করে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-০২ এর আওতাধীন ৩ নম্বর ওয়ার্ড মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে হোটেল, রেস্তোরাঁয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ৪টি মামলায় মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-০১ এর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সেক্টর ৬ ও ৪ এ আজমপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট (অঞ্চল-১) মো. জুলকার নায়ন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে দোকান মালিকরা দ্রব্যমূল্যের তালিকা মোতাবেক বিক্রি হচ্ছে কিনা ও স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা এবং জনসাধারণের মধ্যে প্রায় ৫০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়। এ অঞ্চলে কোথাও কোনো জরিমানা করা হয়নি।
এছাড়াও ওয়ার্ড-১৭ এর খিলক্ষেত উত্তর নামাপাড়া এলাকায় ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এখানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তা দখলমুক্ত করা হয়।