logo
আপডেট : ৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৫৬
সেহরি-ইফতারির সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট
জুয়েল রানা, টাঙ্গাইল

সেহরি-ইফতারির সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট

প্রতীকী ছবি

রমজানের শুরু থেকে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সেহরি, ইফতার ও তারাবির নামাজের সময়ে লোডশেডিং হওয়ায় জনসাধারণে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

প্রথম রোজা থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার সদর নঙ্গিনাবাড়ি, দক্ষিণ মামুদনগর, কলমাইদ, ভাড়রা, ধুবড়িয়া, ভাদ্রা, দপ্তিয়রের সারোটিয়াগাজী, নবদিয়া, সহবতপুরের খামার ধল্লা, ডাঙ্গা, বাউসাইদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তাদের অভিযোগ, ইফতার ও তারাবির নামাজ পর্যন্ত অনেক স্থানে বিদ্যুৎ থাকে না। আবার কিছু স্থানে বিদ্যুৎ এসেই চলে যায়।

নাগরপুর সদর নঙ্গিনাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মিয়া বলেন, ‘তারাবি ও সেহরির সময় ঠিকমত বিদ্যুৎ থাকছে না। দুর্বিষহ গরমের ভেতর তারাবির নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। আবার সেহরির সময়ের ঠিক আগে বিদ্যুৎ নাই। এটি গ্রাহকদের সঙ্গে এক প্রকার তামাশা।’

উপজেলার কেদারপুরের কলেজ ছাত্রী মনিকা আক্তার বলেন, ‘এমনিতেই সব সময় সমস্যা করে বিদ্যুৎ। এখন রমজান মাসেও সমস্যা করতাছে। রাতে সেহরির সময় কারেন্ট না থাকলে খুব সমস্যা সৃষ্টি হয়।’

সহবতপুরের বাসিন্দা ওমর আলী বলেন, ‘রাতে তারাবির নামাজে দাঁড়ালে গরমে শরীর দিয়ে ঘাম পড়ে। অথচ রমজান মাসে নিয়মিত কারেন্ট থাকার কথা কিন্তু একদিনও ঠিকমতো পেলাম না।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন নাগরপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মেশবাহুল হক বলেন, ‘গ্যাস সংকটে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। বিধায় আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ প্রাপ্ত না হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে।

‘এ গরমে গ্রাহক চাহিদার চাপ বাড়ায় অতিরিক্ত লোডের কারণের লোডশেডিং হচ্ছে। রমজানে এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নাগরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অনুরোধ করেছি যেন সেহরি ও ইফতার সময়ে বিদ্যুৎ সচল থাকে। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন সংকটের কথা জানিয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে, সেহরি ও ইফতার সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’