logo
আপডেট : ৭ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৩৮
উন্নত দেশগুলোর পরিবেশদূষণে বাংলাদেশকেও ভুগতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নত দেশগুলোর পরিবেশদূষণে বাংলাদেশকেও ভুগতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। (ছবি: পিআইডি)

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নিজেদের সৃষ্ট দূষণে নয়, বরং আমেরিকা, ব্রাজিল, চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোর অতিমাত্রিক দূষণের ফলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে দেশের ২০ শতাংশ জমি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউর ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপ সভাপতি এম ইকবাল আর্সলানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে হঠাৎ ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়ার পেছনে পানিদূষণ দায়ী। পানিদূষণের কারণে ডায়বিয়া ও কলেরা বেশি হচ্ছে। এজন্য পরিবেশদূষণও দায়ী।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দেশের মাটি, পানি ও বায়ু ভালো রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে প্রাণিজগৎ ভালো থাকবে। আমাদের পৃথিবীতে উন্নয়ন হচ্ছে ঠিক, কিন্তু সবকিছুই আমরাই নষ্ট করছি।

জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ অনেক বেশি হচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় কম থাকলেও ঢাকার দূষণ সবচেয়ে বেশি। গাছপালা কেটে আমরা পরিবেশের ক্ষতি করছি। ঢাকায় দেড় কোটি লোক বসবাস করে। কিন্তু, এত শব্দদূষণ, ধোঁয়া আর ধুলাবালির কারণে এ শহরে সংক্রামক, অসংক্রামক সব রোগই দিন দিন বাড়ছে। জলবায়ু সমস্যার কারণে মানসিক অবসাদ আর চাপও বাড়ছে।

মাদক ও ধূমপান স্বাস্থ্য সমস্যার আরেক বড় কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অবশ্যই পানিদূষণ রোধ করতে হবে। কৃষকের অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার কমাতে হবে। জমিতে বেশি কীটনাশক ব্যবহারের কারণে উৎপাদিত খাদ্যে মানুষের অসুস্থ হওয়ার হার বাড়ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো। করোনা ব্যবস্থাপনায়ও বাংলাদেশ রোলমডেল। করোনাকে আমরা শূন্যের কোটাতে নামাতে চাই।

তিনি আরো বলেন, দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। যে কারণে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অষ্টম অবস্থানে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্যাভিসহ বেশকিছু বিদেশি সংস্থা করোনা মোকাবিলা ও টিকা কর্মসূচি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। আফ্রিকার অনেক দেশ এখনো ২০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। অথচ করোনা নিয়ন্ত্রণে সামনের সারিতে থাকা বাংলাদেশ ৯৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে, যা সম্ভব হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবার মানসিকতার কারণে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নদীদূষণ, বায়ুদূষণ ও পরিবেশদূষণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কিন্তু, আমরা মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। আমরা উন্নত যন্ত্রপাতি ও স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি।