ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও রুলে এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) এ আদেশ দেন। ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের করা রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত পেতে ৫৪৭ জন গ্রাহক এই রিট আবেদন করেন।
ই-অরেঞ্জের অনলাইন ব্যবসা শুরু হয় ২০০৭ সালে। কিন্তু গতবছর এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সময় মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ তোলেন গ্রাহকরা। এ অবস্থায় পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দিয়ে গ্রাহকদের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এরইমধ্যে মামলা হয়েছে। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে।