logo
আপডেট : ৮ এপ্রিল, ২০২২ ১০:১৪
তিন ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মাটি বিক্রি
প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

তিন ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মাটি বিক্রি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তিন ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে মাটি। এতে একদিকে জমি হারাচ্ছে উর্বরতা, অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে তিন ফসলি উর্বর জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রির ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারির পরও তা উপেক্ষা করেই চলছে মাটি বিক্রি কার্যক্রম।

গত বুধবার সরেজমিনে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গড়পিংলাই বাগধাড়া মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তিন ফসলি আবাদি জমিতে ভেকু লাগিয়ে মাটি খনন করে ইটভাটায় বিক্রির কার্যক্রম চলছে। ওই মাটি খননের কারণে একদিকে জমির টপ সয়েল নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে আইন অমান্য করে জমির শ্রেণি পরিরবতন করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় গড়পিংলাই গ্রামের মৃত আসাব উদ্দিনের ছেলে নায়েব উদ্দিন বিষয়টি মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো কাজ হচ্ছে না।

গ্রামবাসী জানান, গড়পিংলাই গ্রামের ইনাজউদ্দিনের ছেলে রোস্তম আলী ভেকু দিয়ে তিন ফসলি জমির মাটি খনন করে ওই মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছেন। জমি খনন করতে গিয়ে জমির পাশের রাস্তাও কেটে ফেলেছেন, যা গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছেন। রাস্তাটি কেটে ফেলায় গ্রামবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে রোস্তম আলী বলেন, ‘আমি কোনো রাস্তার মাটি কাটিনি। কে বা কারা আমার অনুপস্থিতিতে মাটি কেটেছে তা আমার জানা নেই।’ তবে বুধবার রাস্তার কিছু মাটি তিনি কেটেছেন বলে স্বীকার করেন।

এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের নির্দেশে দৌলতপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হাসান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ফসলি জমি এবং রাস্তার মাটি কাটতে নিষেধ করেন। যদিও তা কর্ণপাত করছেন না রোস্তম আলী।

ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তিন ফসলি আবাদি জমি খনন করে শ্রেণি পরিরবতন করা যাবে না। রোস্তম আলীকে নিষেধ করার পরও তিনি মাটি খনন অব্যাহত রেখেছেন। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সরেজমিনে দেখতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মাটি খনন কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এরপরেও যদি কেউ আইন অমান্য করে তিন ফসলি জমির মাটি খনন করে পুকুর নির্মাণসহ জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করেন তবে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।