logo
আপডেট : ৯ এপ্রিল, ২০২২ ১১:২৩
সয়াবিনক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দুশ্চিন্তায় কৃষক
মিজানুর রহমান, নোয়াখালী

সয়াবিনক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দুশ্চিন্তায় কৃষক

সয়াবিনক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় সয়াবিনক্ষেতে সবেমাত্র ফলন আসতে শুরু করেছে। তবে এরই মধ্যে ক্ষেতগুলোতে লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের।

মূলত কম খরচে অল্প সময়ে ভালো ফলন পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে সয়াবিনচাষে আগ্রহী বেশি। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সয়াবিনচাষ শুরু হয়। চলতি এপ্রিল মাসের শেষদিকে ফলন কাটা শুরু হবে।

কিন্তু হঠাৎ করেই সয়াবিনের গাছে গাছে লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এসব পোকা গাছের সবুজ পাতা ও ডগার রস চুষে নেয়। এর ফলে পাতা ছিদ্র হয়ে ও মরে গিয়ে বাদামি রং ধারণ করে। একই সঙ্গে গাছে আসা ফলনও খেয়ে ফেলে পোকা।

জানা গেছে, চলতি বছর সুবর্ণচর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৫২০ টন। এ ছাড়া হাতিয়া উপজেলায় ৬২ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.৯ টন।

সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ও চরক্লার্কসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সয়াবিন গাছে ফলন আসা শুরু করেছে। এপ্রিল মাসের শেষদিকে ফলন কাটা যাবে। কিন্তু হঠাৎ লেদা পোকার আক্রমণে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকার আক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কীটনাশক প্রয়োগে তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী সামসুল আলম জানান, পোকার আক্রমণ হলেও ফলন বিপর্যয় হবে না। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সয়াবিনের বাজারদরও ভালো।

সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ জানান, মাঠপর্যায়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় এখনো সয়াবিনের ফলন ভালো। কৃষকরা এবারো ন্যায্য দাম পাবেন। তবে কিছু কিছু জমিতে পোকার উপদ্রব দেখা দেওয়ায় ঊর্ধŸতন কৃষি অফিসারসহ তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।