রাজধানীর শাজাহানপুরে গুলিতে নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার অন্যতম 'পরিকল্পনাকারী'সহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ৫ আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নি.) মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার।
আবেদনে বলা হয়, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে সতর্কতার সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ধূর্ততার সাথে নিজেদের মামলার দায় থেকে এড়িয়ে জবাব দেয়ার চেষ্টা করে। তাদের দেয়া তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হওয়াসহ তদন্ত কার্যক্রমে বিঘ্ন হতে পারে। এজন্য তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম ফারাহা দিবা ছন্দা তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ৫ আসামি হলেন-ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আবু সালেহ শিকদার ওরফে 'শুটার’ সালেহ, মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও আরফান উল্লাহ দামাল।
গত ৩ এপ্রিল তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
শাহজাহানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শওকত আকবর ভোরের আকাশকে এসব তথ্য জানান।
নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় গত ২৮ মার্চ 'শুটার' মাসুম মোহাম্মদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে ৫ এপ্রিল আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে মাসুম। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।
৭ এপ্রিল নাসির উদ্দিন ওরফে মানিক এবং মোহাম্মদ মারুফ খান নামে আরও দুই আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
গত ২৪ মার্চ রাতে মতিঝিল এজিবি কলোনী কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংকের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী প্রীতি। টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেন।