logo
আপডেট : ৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:২০
আ. লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

আ. লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫

মুন্সিগঞ্জ সদরের মোল্লাকান্দিতে আধিপত্য বিস্তার ও আলু বহনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশু গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।

মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা ও চর বেশনাল এলাকায় শনিবার সকাল থেকে দুপুুর পর্যন্ত কয়েক দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহসিনা হক কল্পনার লোকজন এ সংঘর্ষে জড়ান।

রিপন পাটোয়ারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোহসিনা হক কল্পনা মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন-রিপন পাটোয়ারী পক্ষের নুসরাত (২৫), নুরুল মোল্লা (৫০), মামুন গাজী (৩৮), ইমরান গাজী (৩৫) ও কল্পনা পক্ষের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (২২), রানা বেপারী (১৮), মো. শরিফ খান (২৫) সারোয়ার হোসেন (২৫), রিফাত হোসেন (৯) ও হনুফা বেগম (৬০)।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ চরবেশনাল এলাকার হনুফা বেগম ও শিশু রিফাতকে (১০) মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে গ্রেপ্তার আতংকে অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে না বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রিপন ও মহসিনা পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের রিপন পাটোয়ারী বিজয়ী হলে মহসিনা হকের লোকজনকে এলাকাছাড়া করে দেয়। বেশ কয়েকদিন ধরে মহসিনার লোকজন এলাকায় ফিরে এলে আবারো দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।

শনিবার সকালে আবারো দুপক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় দফায় দফায় গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।

রিপন পাটোয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে মহসিনা হকের লোকজন আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার কয়েকজনকে মারধর করে তারা। আজ সকালে তারা আমার ৯নং ওয়ার্ড মেম্বারের বাসায়, সাবেক মেম্বার হুমায়ুন কবির মোল্লার বাসায় লুটপাট চালায়। এ ছাড়া ইয়াজউদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। আমরা পক্ষের লোকজন প্রতিহত করে। এতে আমার পক্ষের ১০-১৫ জন আহত হয়েছে।’

মহসিনা হক বলেন, ‘নির্বাচনের পর আমার লোকজনকে গ্রামছাড়া করে দেওয়া হয়। কিছুদিন ধরে তারা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। রিপনের লোকজন আমাদের ওপর হামলার জন্য উৎপেতে ছিল। সকালে তারা আমার লোকজনের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নেয়। আমার পক্ষের গুলিবিদ্ধসহ ৭-৮ জন লোক আহত হয়েছে।’

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফেরদৌস বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক নারী ও একশিশু হাসপাতালে আসে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। হনুফা বেগমের ডান পায়ে ও রিফাতের বাম পায়ে গুলি লেগেছে।’

সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’