রাজশাহীর চারঘাটে মসজিদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুপক্ষের সংঘর্ষের খোকন আলী (৩৫) নামে এজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের জোতকার্তিক গ্রামে শুকওবারের ইফতারির আগ মূহুর্তে হওয়া এ সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবারের এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১৭ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত খোকন আলী ওই গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, জোতকার্তিক আদর্শ গ্রামে জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে কামরুজ্জামান মুকুল ও মুক্তার আলী নামে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারা দুজনেই নিজ গ্রুপের মধ্য থেকে মসজিদের সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য দুদলে বিভক্ত ছিলেন।
কয়েক মাস আগে মুকুলের লোকজন তাকে সভাপতি করে মসজিদের কমিটি ঘোষণা করে। কিন্তু মুক্তার, সেলিমসহ আলাদা একটি পক্ষ ওই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে। পরে তারা নিজেদের লোকজন নিয়ে স্থানীয় এক আমবাগানে অস্থায়ী মসজিদ স্থাপন করে।
শুক্রবার দুপক্ষই ইফতারের আয়োজন করে। ইফতারের আগ মুহুর্তে ওই দুপক্ষের লোকজনের মাঝে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো হাঁসুয়ার আঘাতে মুক্তারের পক্ষের খোকন আলী নিহত হন। এ ঘটনায় খোকন আলীর বাবা মোজাহার আলীসহ দুপক্ষের ১২ জন আহত হন।
এ ঘটনায় নিহত নিহত খোকন আলীর স্ত্রী রুপা খাতুন চারঘাট থানায় একটি মামলা করেন। এতে কামরুজ্জামান মুকুলকে প্রধান করে মোট ৩৮ জনকে আসামি করা হয়।
স্থানীয় নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই মসজিদ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন জায়গায় দুপক্ষকে নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করা হলেও তাদের জেদাজেদির কারণে কোনো সমাধান হয়নি। তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে সব সময় অনড় ছিল। শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্বটা হত্যাকাণ্ডে রূপ নিয়েছে।’
চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এজাহারে উল্লেখ থাকা ১৭ আসামিকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। আটককৃতদের শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’