পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অব্যাহত চাপের মুখে স্পিকার আসাদ কায়সার যখন পদত্যাগ করেন ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছেড়ে চলে যান ইমরান খান।
দেশটির অন্যতম প্রধান সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হন ইমরান খান। ফলে দেশ শাসনের ক্ষমতা হারান তিনি।
জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রমাণের জন্য বিরোধীদের ১৭২টি ভোটের দরকার ছিল। তবে ভোট পড়ে ১৭৪টি। এতে পরিষ্কার জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের দলের বাইরে বেশি আসন পাওয়া তিন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) ৮২, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪, মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল ১৫ এর আইন প্রণেতারা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট তো দিয়েছেই আরো ২৩টি ভোট এসেছে জাতীয় পরিষদে থাকা ছোটদলগুলো থেকে।
পরিষদে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ১৪৯টি আসন থাকলেও বাকি ২৩টি ভোট জোগাতে ছোট শরিকগুলোকে পাশে পেতে ব্যর্থ হয় তারা।
এর মাধ্যমে ২০১৮ সাল থেকে সাড়ে তিন বছরের বছর ক্ষমতায় থাকলেও মেয়াদ পূরণ সম্ভব হলো না পাকিস্তানকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ এনে দেওয়া অধিনায়ক থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খানের। দেশটির ইতিহাসে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রীও হলেন তিনি।
পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রীই পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি, সর্বোচ্চ চেষ্টার পর পারলেন না ইমরান খানও।
পিটিআই প্রধান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বানিগালায় তার বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
পিটিআইয়ের সিনেটর ফয়সাল জাভেদ খান এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরকারি বাসভবন থেকে তিনি বিদায় জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লেখেন ‘এইমাত্র ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর হাউস থেকে বিদায় দেখেছি। তিনি সদয়ভাবে বেরিয়ে গেলেন এবং মাথা নত করলেন না। তিনি পুরো জাতির মাথা উঁচু করেছেন।’
সিনেটর আরও জানান, তার মতো একজন নেতা পেয়ে তিনি পাকিস্তানি হিসেবে গর্বিত এবং তার মতো নেতা পেয়ে ধন্য বোধ করছেন।