ফ্রেঞ্চ লিগে শনিবার রাতে গোল উৎসব করেছে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার। দুইজনেই হ্যাটট্রিক করেছেন। আর তাতেই অ্যাওয়ে ম্যাচে প্যারিস সেন্ত জার্মেই ৬-১ গোলের বন্যায় ভাসিয়েছে ক্লেমন্ত ফুটকে। হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসিও। তবে গোলের নয় গোল সহায়তায়। ফলে একই ম্যাচে আবার জ্বলে ওঠার প্রমাণ রাখলেন এমবাপ্পে, নেইমার ও মেসি।
গোলের সঙ্গে সখ্যটা ভালোই গড়ে তুলেছেন এমবাপ্পে। গত সপ্তায় লোরিয়েন্তের বিপক্ষে তিনি জোড়া গোল করেছিলেন। এছাড়া একটা গোলের রূপকারও ছিলেন। এ ম্যাচে উভয়ার্ধে গোল করেছেন তিনি। নেইমারও উভয়ার্ধে গোল পেয়েছেন। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে লিগে এমবাপ্পের গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ক্লেমন্তকে প্রথমার্ধেই উড়িয়ে দিয়েছিল পিএসজি। তবে গোলের সংখ্যায় নয়, আক্রমণের তোড়ে। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল ক্লেমন্তকে। তবে এ অর্ধে মাত্র দুইবার ক্লেমন্তের জালে বল ফেলতে পারে পিএসজি। একবার নেইমার ও একবার এমবাপ্পে। মাত্র ষষ্ঠ মিনিটেই গোল হজম করে ক্লেমন্ত। লিওনেল মেসির তৈরি করা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন নেইমার। এ অর্ধে এমবাপ্পের করা গোলেরও রূপকার ছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার কাছ থেকে বল পেয়ে ১৯ মিনিটের সময় চমৎকারভাবে নিজের প্রথম ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপ্পে।
শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানে হারলেও ক্লেমন্ত যে পিএসজিকে চমকে দেয়নি তা নয়। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। কেননা বিরতির আগে তারা ব্যবধান কমিয়ে ১-২ করেছিল। সাইফ এডিন খাউয়ির কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিলেন ডুসন। তবে প্রথমার্ধে গোল করে ক্লেমন্ত যে চমক তৈরি করেছিল দ্বিতীয়ার্ধে আর থাকেনি। এ সময়ে মাত্র ১২ মিনিটে পিএসজি চার গোল করে। দুটো করে গোল করেন এমবাপ্পে ও নেইমার। এমবাপ্পে ৭৪ ও ৮০ মিনিটে গোল দুটো করেন। আর নেইমার করেন ৭১ ও ৮৩ মিনিটে। এ অর্ধে নেইমারের করা প্রথম গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে পাওয়া।
এ জয়ের ফলে ৩১ ম্যাচ শেষে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের পয়েন্ট ৭১। তাদের লিগ শিরোপা জয় অনেকটা নিশ্চিত। কেননা দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্তাদে রেনে থেকে তারা এখন ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। স্তাদে রেনেরও পয়েন্ট ৫৬। তারাও খেলেছে ৩১ ম্যাচ। তবে ৩০ ম্যাচ খেলা মার্সেইয়েরও পয়েন্ট ৫৬। এ মুহুর্তে তৃতীয় স্থানে থাকলেও তাদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার সুযোগ রয়েছে।