logo
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১১:২৩
লেবুর দাম শুনে চক্ষু ছানাবড়া
পুলক পুরকায়স্থ, মৌলভীবাজার

লেবুর দাম শুনে চক্ষু ছানাবড়া

এক জোড়া জারা লেবু ১০০ থেকে ১১০ টাকা, কাগজি লেবু ২০ থেকে ৬০ টাকা হালি এবং চায়না লেবুর হালি ৪০ থেকে ৮০ টাকা। নিজের এলাকায় চাষ হওয়ার পরও লেবুর এত দাম, এই অবস্থায় অনেক ক্রেতা লেবু না কিনে ফিরছেন বাড়ি, প্রকাশ করছেন ক্ষোভও।

গতকাল শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের পশ্চিম বাজার, সমশেরনগর রোড, কোর্ট রোডের টিসি মার্কেট ও চাঁদনীঘাটের কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

অথচ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ ও অন্যান্য উপজেলায় রয়েছে কয়েক হাজার লেবু বাগান। তা সত্ত্বেও লেবুর দাম আকাশছোঁয়া।

সচেতন নাগরিক ও ক্রেতাদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করার পরও কমছে না লেবুর দাম।

মৌলভীবাজার জেলা শহরের কোর্ট রোড এলাকায় কাঁচাবাজারে লেবু কিনতে এসেছেন স্থানীয় শাহ শফিক। এক জোড়া জারা লেবুর দাম ১০০ টাকা শুনে তার চক্ষু ছানাবড়া। পরে দুই হালি কাগজি লেবু ৬০ টাকায় কিনে রওনা দিলেন বাসার উদ্দেশে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় অনেক লেবু বাগান হওয়ার পরও এত দাম। হতাশ না হয়ে পারলাম না।’
রিকশাচালক দুলাল মিয়া বাজারে এসে লেবুর দাম শুনে ফিরে যাওয়ার সময় বলেন, ‘লেবুর স্বাদ নেওয়া তো আমার জন্য নয়।’ অথচ রমজানে ইফতারিতে লেবুর শরবত একটি প্রয়োজনীয় পানীয়। দিন শেষে সুগন্ধি লেবুর শরবতে চুমুক দেওয়া এখন নিম্নবিত্তদের কাছে কল্পনাতীত।

লেবু বিক্রেতা রুহেল মিয়া জানান, আগে বড় সাইজের ১০০ জারা লেবু ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকায় কিনতেন। এখন মাঝারি সাইজের জারা লেবুর পিস ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় কিনতে হয়।

ওই লেবু বিক্রেতা বলেন, ‘দাম বাড়ায় এখন ৫০ থেকে ৬০ পিস জারা লেবু আনি। চাহিদা থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কম কেনেন। আগে ১০০ লেবুতে দুদিন চলত। এখন ৬০ পিস লেবু এনে দুইদিনে ৩৬টি বিক্রি করেছি।’

জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জরিমানা করা নয়, ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সচেতন করা।’