খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের ওপর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের হামলার অভিযোগ এনে তাকে অবিলম্বে বরখাস্তসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ইউপি সচিব কল্যাণ তহবিল আহ্বায়ক কমিটি। আজ রোববার (১০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ইউপি সচিব কল্যাণ তহবিল আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মীর আবদুল বারেক। এসময় ইউপি সচিব কল্যাণ তহবিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল বারেক বলেন, গত ২১ মার্চ কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ তার ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনকে নির্মম নির্যাতন করেন। অফিস সময়ের পর ইকবাল হোসেনকে বাড়ি থেকে অফিসে ডেকে এনে তার ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালানো হয়েছে, যা কেবল গর্হিত অপরাধ নয়, মানবাধিকারের লঙ্ঘনও।
তিনি বলেন, নির্মমভাবে প্রহার করায় ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনের একটি হাত ভেঙে গেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন সে আজও বহন করে চলেছে। অথচ অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্থানীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইউপি সচিবদের জন্য অপমানজনক। আমরা বাংলাদেশ ইউপি সচিব কল্যাণ তহবিল আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আবদুল বারেক বলেন, ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচারের অপরাধে মহারাজপুরের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি সারা দেশে ইউপি সচিবদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের যেকোনো ইউপি সচিব তার কর্মক্ষেত্রে কোনো প্রকার হামলা বা নির্যাতনের শিকার হলে প্রশাসনকে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি সচিবের চিকিৎসা ব্যয় বহনসহ প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে দিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার/জেলা প্রশাসককে দোষী/দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং ভিকটিমের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।