logo
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৫৫
রমনা বটমূলে বোমা হামলা: বিচারকের প্রতি অনাস্থা আইনজীবীর
আদালত প্রতিবেদক

রমনা বটমূলে বোমা হামলা: বিচারকের প্রতি অনাস্থা আইনজীবীর

রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন এক আসামির আইনজীবী।

রোববার (১০ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের প্রতি অনাস্থা জানান আরিফ হাসান ওরফে সুমনের আইনজীবী।

এদিন মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ধার্য ছিল। আরিফ হাসানের আইনজীবী মিজানুর রহমান এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। কিন্তু আদালত আবেদনটি খারিজ করেন।

এরপর মিজানুর রহমান বলেন, আপনার আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। আমরা ন্যায়বিচার পাবো না। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আমরা এখনো নকল হাতে পাইনি, আমাদের সময় দিন।

এরপর আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভুঞা ভোরের আকাশকে এ তথ্য জানান।

গত ৩ এপ্রিল এ মামলায় কারাগারে থাকা সাত আসামি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেননি।

এর আগে, গত ২১ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই সময় বিস্ফোরক আইনের ৩ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাই ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা যুক্ত করে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় তা বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এই ঘটনায় হত্যা মামলায় একই সংখ্যক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন-আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, আবু তাহের, আ. রউফ, আকবর হোসাইন ওরফে হেলালউদ্দিন, মো. তাজউদ্দিন, সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, শফিকুর রহমান, ইয়াহিয়া ও আব্দুল হাই।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও বহু লোক আহত হন। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর এ ১৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।