logo
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৩৯
'দ. আফ্রিকার নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পরিচালিত হতো মাদক ব্যবসা'
নিজস্ব প্রতিবেদক

'দ. আফ্রিকার নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পরিচালিত হতো মাদক ব্যবসা'

কারওয়ানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান

দক্ষিণ আফ্রিকার নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা হোয়াটসঅ্যাপে এলএসডি তথা মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতেন রায়হান নামে গ্রেপ্তারকৃত এক ব্যক্তি। গত ২২ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সপরিবারে বাংলাদেশে আসেন মোহাম্মদ রায়হান (২৫)। রায়হান হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে তার মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। 

রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে কারওয়ানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

র‍্যাব বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরার সময় নিজের নোটবুকের ভেতরে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক এলএসডি নেন রায়হান। সেই নোটবুক ব্যাগে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার মোবাইল নম্বরে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে এলএসডি বিক্রির চেষ্টা করেন।

মাহফুজুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদ রায়হান নামে ওই যুবককে খুঁজতে থাকে র‌্যাব-১০ এর একটি দল। পরে গত শনিবার (৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর কদমতলী থানার মাতুয়াইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ফেনীর সোনাগাজীর কাশমীর বাজার রোডের শহিদউল্ল্যাহর ছেলে তিনি।

এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বর্তমান সময়ে আলোচিত মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক এসিড ডাইথ্যালামাইড) মিশ্রিত ৯৬ পিস রঙ্গিন প্রিন্টেড ব্যাট পেপার স্ট্রিপ, ৩টি ক্রেডিট কার্ড, ২টি ডেবিট কার্ড, ১টি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স,১টি সাউথ আফ্রিকার ড্রাইভিং লাইসেন্স,১টি বাংলাদেশী পাসপোর্ট ও ১টি নোটবুক।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি সাউথ আফ্রিকার নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা। বাংলাদেশে অন্য একটি ফোনের হটস্পটে ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করতেন রায়হান।

র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে মাদক চোরাকারবারী এবং মাদকসেবীরা নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রচলিত নয় কিন্তু বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রচলিত এমন কিছু মাদকের ব্যবহার বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে আমাদের যুব সমাজ এতে আসক্ত হচ্ছে। এ ধরণের মাদক উদ্ধারে র‌্যাব সচেষ্ট রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‌্যাব।

রায়হানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।