logo
আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:০৪
ম্যানসিটি-লিভারপুল মহারণ অমীমাংসিত
ক্রীড়া ডেস্ক

ম্যানসিটি-লিভারপুল মহারণ অমীমাংসিত

ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের মহারণে কেউ জেতেনি। রোববার ইত্তিহাদ মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। ফলে পয়েন্ট টেবিলের দুই দলের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি, স্বাভাবিকভাবে বাড়েনি ব্যবধান। আগে যা ছিল সেই একই অবস্থা ম্যানসিটি ও লিভারপুলের। ৩১ ম্যাচ শেষে ম্যানসিটির ৭৪। সমসংখ্যক ম্যাচ শেষে লিভারপুলের সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট।

ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের মহারণ ঘিরে ফুটবল সমর্থকরা শিরোপা লড়াইয়ের প্রাথমিক একটা সমাপ্তি দেখার অপেক্ষায় ছিল। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় ম্যানসিটির দিকে জয়ের পাল্লাটা একটু হলেও হেলে ছিল। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক এবং সফরকারী উভয় দল সমানতালে লড়ে অমীমাংসিতভাবে খেলা শেষ করেছে। ম্যানসিটির হয়ে কেভিন ড্রি ব্রুইন ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস গোল করেছেন। লিভারপুলের হয়ে গোল পরিশোধ করেছেন দিয়াগো জোতা ও সাদিও মানে। প্রথমার্ধে স্বাগতিক দল ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। দুইবার ম্যানসিটি আগে গোল করেছে। আর লিভারপুল গোল পরিশোধ করে শিরোপা লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে।

গত অক্টোবরে অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচেও একই অবস্থা হয়েছিল। ম্যাচটি ২-২ গোলে অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানীয় দল দুটো আবার শনিবার মুখোমুখি হবে। এফএ কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একে অপরের মোকাবেলা করবে।

ম্যাচে মোটা চারটা গোল হলেও উভয় দল একাধিক গোলের সহজ সুযোগও নষ্ট করেছে। ম্যানসিটির রহিম স্টার্লিং ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোল করার দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। গোলের খুব কাছে পাওয়া সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। তার শট লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন রুখে দেন। কয়েক সেকেন্ড পরেই স্কোর শিটে নাম লেখান কেভিন ডি ব্রুইন। ফ্যাবিনহোর কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দূর পাল্লার শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন হয়তো বলটা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারতেন। কিন্তু জোয়েল মাতিপের পায়ে লেগে বল দিক পরিবর্তন করায় তার চেষ্টাটা বৃথা হয়ে যায়।

গোল হজমের ধাক্কা সামলে নিয়ে লিভারপুল ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি। ১৩ মিনিটের সময় তারা ম্যাচে ফিরে আসে। চমৎকার এক গোল করেন জোতা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের খেলায় সিটি আবার ৩৬ মিনিটে এগিয়ে যায়। লিভারপুলকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলে গোলটি করেন জেসুস। লিভারপুলের খেলোয়াড়রা অফসাইডের বাঁশির প্রত্যাশায় ছিলেন কিন্তু রেফারি সেদিকে কান দেননি।

বিরতির ঠিক আগ মুহুর্তে সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন ম্যানসিটির ডিফেন্ডার আমেরিক লাপোর্তে। তবে খুব বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। বিরতির পর খেলা শুরু হতে না হতেই লিভারপুল সমতাসূচক গোল পেয়ে যায়। মোহাম্মদ সালাহর তৈরি করা সুযোগ থেকে সাদিও মানে করেন গোলটি।

রহিম স্টার্লিং ৬০ মিনিটের সময় ম্যানসিটিকে আবার এগিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভিএআর দেখে রেফারি গোলটি বাতিল করে দেন। বদলি খেলোয়াড় রিয়াদ মাহরেজ খেলার শেষ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

জমজমাট এ লড়াইকে লিভারপুর কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বক্সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ খেলাকে বক্সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যখনই কোনো প্রতিপক্ষ অসচেতন হয়েছে তখন বড় আঘাত এসে হামলে পড়েছে। যেমনটা পড়ে বক্সিংয়ে। বক্সার দুই নিচে নামালেই যেমন প্রতিপক্ষ হামলে পড়ে এখানেও তেমনটা হয়েছে।’

অন্যদিকে ম্যানসিটি কোচ গার্দিওলা বলেন, ‘যেভাবে খেলা হয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমরা প্রথমার্ধে দারুণ খেলেছি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট আমাদের জন্য খেলাটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে গোল হজম করলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তাদের দলে চমৎকার সব খেলোয়াড় রয়েছে। আর তারা যে কোনো দলের জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। আর এটা ফুটবল। ফুটবলে এমনটা ঘটে থাকে।’