রাজধানীর রমনা থানায় করা মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এই আদেশ দিয়েছেন।
সম্রাটের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী। রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সম্রাটের জামিনের আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান।
আরো পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
সম্রাটের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী ভোরের আকাশকে বলেন, 'তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। রোববার অস্ত্র এবং অর্থপাচার মামলায় জামিন পান তিনি। আজ মাদক মামলায়ও সম্রাট জামিন পেলেন। আর একটি মামলা আছে দুদকের। ওই মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। আশা করছি, অতি শিগগিরই জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন।’
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেদিন দুপুরে তাকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদি হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আ. হালিম।