logo
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:৪৫
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথে যাদের অনুপস্থিতি প্রশ্ন তুলছে
ভোরের আকাশ ডেস্ক

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথে যাদের অনুপস্থিতি প্রশ্ন তুলছে

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ।

কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার পর গতকাল সোমবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভবনে ওই শপথ অনুষ্ঠান হলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। শপথ অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ আগেই প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি অসুস্থ বোধ করছেন এবং তার চিকিৎসকরা কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। ফলে সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি তাকে শপথ পড়ান।

বিবিসি উর্দু জানাচ্ছে, ওই অনুষ্ঠানে আরেকজন ব্যক্তির অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। কিছু খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। সামরিক মুখপাত্র এই তথ্য নিশ্চিতও করেননি বা নাকচও করেননি। তবে ওই অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তাকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান।

পিএমএল-এন এর সব সদস্য, পিপিপির বিলওয়াল ভুট্টো জারদারিসহ শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে আসিফ আলি জারদারি ছিলেন না।

সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে শপথ পড়ান।

 

নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করবে ইমরান খানের দল

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জং ডট কম জানিয়েছে, সোমবার পিটিআই রাজনৈতিক কমিটি একটি বৈঠক করেছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন থেকে তারা সভা-সমাবেশ করার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মসূচী অব্যাহত রাখবে। চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, তিনি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাই সেখানে আর যাবেন না। বরং পিটিআই এখন তৃণমূল পর্যায় থেকে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করবে। এভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা হবে।

গতকাল সোমবার পিটিআইয়ের সমর্থকরা ইমরান খানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ করার প্রতিবাদ জানাতে সমর্থকদের পথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে তিনি কোন পুতুল সরকার মেনে নেবেন না। পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের অন্তত ৪০টি স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

বিবিসি বাংলা