ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন চেয়ে ছয় দফা দাবি আদায়ে অনশনরত শিক্ষার্থী মহিউদ্দীন রনির অনশন ভাঙিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। গতকাল সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে ডাবের পানি পান করিয়ে তার অনশন ভাঙান উপাচার্য।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
৭৭ ঘণ্টা ধরে অনশনরত রনির দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যেই কিছু দাবির বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। আর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নতুন একটি ভবন দুই বছরের মধ্যেই নির্মাণ করা হবে। এসময় ভালো কোনো হাসপাতালে রনির উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন দেন।
ছয় দফা দাবি আদায়ে শনিবার দুপুরে মেডিকেল সেন্টারে অনশন শুরু করেন রনি। তিনি তার পায়ের অসুস্থতা নিয়ে মেডিকেল সেন্টারের ভর্তি হতে উপযুক্ত সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হন। এরপর মেডিকেলের আধুনিকায়নের দাবিতে অনশন শুরু করেন।
তার দাবিগুলোর মধ্যে আছে- মেডিকেল সেন্টারের প্রবেশ পথে তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক লিফট, র্যাম্প, হুইল চেয়ার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণ দিতে হবে, নারী শিক্ষার্থীদের অন্তর্বর্তীকালীন শারীরিক সমস্যার সব চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় টিকা দিতে হবে।
এর আগে গত রোববার রনিকে দেখতে গিয়ে তার দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে রনির দাবিগুলো দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।