logo
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:২০
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো ‘দুর্বল’ অর্থনীতির দেশের সঙ্গে তুলনা লজ্জাজনক
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো ‘দুর্বল’ অর্থনীতির দেশের সঙ্গে তুলনা লজ্জাজনক

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো ‘দুর্বল’ অর্থনীতির দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনাকে লজ্জাজনক বলে মনে করে সরকার।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠক করে রাজস্ব ও অর্থ বিভাগ। বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ বিভাগ ‘অফশোর ট্যাক্স অ্যামেস্টি’ এবং ‘শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সমষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক উপস্থাপনা উপস্থাপন করে।

এ সময় শ্রীলঙ্কার চলমান সংকটের কারণ ও এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করে দেখা হয়। প্রায় সকল সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এমন মত প্রকাশ করা হয়।

তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ইত্যাদি অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ‘আমদানিকৃত মুদ্রাস্ফীতি’ হিসেবে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটি সমন্বিত রাজস্ব নীতি ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়।

পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে শ্রীলংকার সঙ্গে তুলনা করেন, তারা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে হেয় করেন। এটা খুবই লজ্জাজনক। বাংলাদেশের শ্রীলংকা হওয়ার কোনো কারণ নেই। অর্থনীতির সব সূচকেই আমরা খুবই ভালো অবস্থায় আছে।’ বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন শ্রীলংকা-পাকিস্তানের অর্থনীতির যোগফলের সমান বলেও তথ্য দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বড় কোন ঝুঁকির আশংকা নেই। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনো ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে রয়েছে এবং এ ধারা সামনের সময়ে অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ প্রদান করেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এবং ব্যাংকিং বিভাগের সচিব এসময় উপস্থিত ছিলেন।