logo
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২২ ২১:১৩
জেট ফুয়েলের দাম লিটারে বাড়ল ১৩ টাকা
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জেট ফুয়েলের দাম লিটারে বাড়ল ১৩ টাকা

জেট ফুয়েল ভরা হচ্ছে একটি এয়ারক্রাফটে। (সংগৃহীত ছবি)

উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম ফের বাড়িয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। নতুন দাম আগের দামের তুলনায় লিটারে ১৩ টাকা বেশি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ রুটের ক্ষেত্রে জেট ফুয়েলের দাম পড়বে লিটার প্রতি ১০০ টাকা। গত মার্চে এর দাম ছিল লিটারে ৮৭ টাকা। আর আন্তর্জাতিক রুটের ক্ষেত্রে দাম পড়ছে লিটারপ্রতি ১ দশমিক ২ ডলার, যা মার্চে ছিল দশমিক ৮২ ডলার।

বিপিসি সূত্রে এ জানা গেছে, জেট ফুয়েলের দাম বাড়ার বিষয়টি জানিয়ে সম্প্রতি সব এয়ারলাইনসকে চিঠি পাঠায় বিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। চিঠিতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেট এ-১ জ্বালানি তেলের বিক্রয়মূল্য বাড়ানো হয়েছে, যা ৭ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে।

দাম বাড়ানোর পর বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম পড়বে ১০০ টাকা। আন্তর্জাতিক রুটের জন্য দাম পড়বে প্রতি লিটার ১ দশমিক ২ ডলার।

এর আগে মার্চেও এক দফা বাড়ানো হয় জেট ফুয়েলের দাম। সে সময় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ৮০ টাকা থেকে ৭ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার ফুয়েলের (জ্বালানি) দাম ৮৭ টাকা করা হয়।

গত ১৩ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফুয়েলের নতুন দাম গত ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে। সে সময় পদ্মা অয়েল জানায়, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার তেল কিনতে হবে দশমিক ৮২ মার্কিন ডলারে। আগে যেখানে দাম ছিল দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।

এদিকে দফায় দফায় জেট ফুয়েলের দাম বাড়ানোয় অস্বস্তিতে রয়েছে দেশীয় বিভিন্ন এয়ারলাইনস কোম্পানি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেট ফুয়েলের দাম বাড়ালে এয়ারলাইনসের পরিচালন ব্যয় বেড়ে যায়। অপারেশনে অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে দেশে বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো ন্যুব্জ হয়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটারের নির্ধারিত মূল্য ছিল ৪৮ টাকা। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৫৩ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ৫৫ টাকা, মার্চে ৬০ টাকা এবং এপ্রিলে ৬১ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে মে মাসে লিটারে ১ টাকা দাম কমানো হয়েছিল। জুনে আবার ৩ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬৩ টাকা। জুলাইয়ে ৬৬, আগস্টে ৬৭, অক্টোবরে ৭০ এবং নভেম্বরে ৭৭ টাকা করা হয়। জানুয়ারিতে দুই দফায় কমানো হয়েছিল ৪ টাকা। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফায় ১৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল জেট ফুয়েলের দাম।

দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিপিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করে বিপিসির মূল্য নির্ধারণ কমিটি। এ কমিটি সব সময়ই জেট ফুয়েলের আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং করেই মূল্য সমন্বয় করে।