logo
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৫০
৪ হাজার কোটির বাজার এখন ৪০০ কোটি
ঈদবাজারের দখলে বৈশাখী ব্যবসা
জুনায়েদ হোসাইন

৪ হাজার কোটির বাজার এখন ৪০০ কোটি

বৈশাখী পোষাকের আয়োজন নিয়ে রাজধানীর একটি দোকান

বর্ষবরণের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামীকাল উদযাপিত হবে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষে গ্রামগঞ্জে, হাটবাজারে মেলার আয়োজন হয়ে থাকে সবসময়।

ব্যবসায়ীরা বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব মেলাতে আয়োজন করেন হালখাতার। তবে টানা কয়েক বছর পবিত্র রমজানের মধ্যে বাংলা নববর্ষ বৈশাখ হওয়ায় বিভিন্ন আয়োজন ও ব্যবসায় এসেছে পরিবর্তন।

এ ছাড়া গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণেও আয়োজন ছিল সীমিত। সব মিলিয়ে উৎসব উপলক্ষে পান্তা-ইলিশ আয়োজন, শাড়ি-লুঙ্গি ও অন্যান্য প্রসাধনীর বাজারে নেমে এসেছে ভাটা।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, করোনা ও রোজার কারণে বৈশাখ উপলক্ষে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার বাজার এখন ৪০০ কোটি টাকায় নেমেছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের তথ্য মতে, রমজান মাস ছাড়া বৈশাখ উদযাপনে ব্যবসায় ছিল ভিন্নতা।

করোনার বিধিনিষেধ ও রমজানের কারণে এখন বৈশাখের বাজার দখলে নিয়েছে, ঈদের বাজার। ব্যবসায়ীরা বৈশাখের পোশাকের পরিবর্তে এখন ঈদের পোশাক তুলেছে।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, পহেলা বৈশাখ দুপুর ২টার পর কোনো আয়োজন করা যাবে না। রমজান মাস উপলক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈশাখের ব্যবসার বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ভোরের আকাশকে বলেন, বৈশাখ উপলক্ষে দেশের সার্বিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম ছিল ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার মতো।

করোনা ও রোজার কারণে তা এখন ৪০০ বা ৪৫০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা রোজার মধ্যে বৈশাখ উপলক্ষে পণ্য তুলতে আগ্রহ হারিয়েছেন।

তিনি বলেন, সাধারণত বৈশাকে পান্তা-ইলিশ ও মেলার আয়োজনে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা ছিল। আর পোশাক ও আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠানে তেমন খরচ ছিল না।

রোজার কারণে এখন দিনের বেলায় তেমন কোনো অনুষ্ঠান নেই। যে কারণে বৈশাখ উদযাপনে ভাটা এসেছে। তবে আরবি মাস ও বাংলা মাসের সময় পরিবর্তনে আবার যখন স্বাভাবিকভাবে বৈশাখ আসবে, তখন উৎসবে প্রাণ ফিরে আসবে।