logo
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৪৮
বৈসু উৎসবে বর্ণিল লালমাই পাহাড়
কুমিল্লা প্রতিনিধি

বৈসু উৎসবে বর্ণিল লালমাই পাহাড়

বৈসু উৎসবে গঙ্গাপূজার প্রস্তুতি

লালশাড়ি পড়ে মাথায় বেণী, হাতে ফুল নিয়ে দলে দলে একত্র হয় তরুণীরা। তাদের সাথে যোগ দেয় পাড়ার নারী পুরুষ ও শিশুরা। বুধবার বাংলা নববর্ষের শেষ দিনে বৈসু উৎসবে বর্ণিল হয়ে উঠে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়।

চৈত্রের শেষ দিনে আনন্দ র‍্যালি, ফুল ভাসিয়ে, গানে সুর, নূপুরের ছন্দে, নাচের তালে তালে মেতেছে এ পাহাড়ের ত্রিপুরা পল্লীর তরুণ-তরুণীরা। নিজেদের সাজিয়েছে হরেক রকম পোশাকে। পাহাড়ি ত্রিপুরা পল্লীর ঘরে ঘরে এখন জমজমাট বৈসু উৎসবের আসর।

করোনার কারণে গত দুই বছর বৈসু উৎসব হয়নি কুমিল্লা কোটবাড়ী ত্রিপুরা পল্লীতে।

বুধবার (৩০ চৈত্র) কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের ত্রিপুরা পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে ঘরে রান্না হয়েছে পাঁচন (হরেক রকম সবজির সংমিশ্রণ), লুচি মিষ্টান্নসহ নানান রকমের মিষ্টিজাতীয় খাবার।

বৈসু উৎসবে বার্ড পুকুরে গঙ্গা পূজা।

 

সকাল ১০টার দিকে ত্রিপুরা পল্লী থেকে তরুণ-তরুণীরা দল বেঁধে র‍্যালি নিয়ে আসে কুমিল্লার কোটবাড়ির বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর পুকুরে। সেখানে তারা ফুল ভাসিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে সম্পন্ন করেন গঙ্গা পূজা। এসময় তাদের র‍্যালিতে যোগ দেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু।

সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ বলেন, ত্রিপুরা পল্লীতে এসে খুবই ভালো লাগছে। বাংলা বর্ষ বরণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। পাহাড়িদের এসব অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছে। তাদের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম বৈসু। এই ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে তাদের উৎসব উদযাপনে উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি। এমন লোকজ অনুষ্ঠানগুলো উদযাপনে উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

সালমানপুর ত্রিপুরা উপজাতি কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি সজীব চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, আমরা প্রত্যেক বছর চৈত্রের শেষ দিনে এই উৎসব করি। এবারেও করেছি। আমরা এখন গঙ্গা পূজার পরে আমাদের পল্লীতে বৃদ্ধস্নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করি, তারপর আয়োজন করি অতিথি আপ্যায়নের। এরপর সারাদিন চলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে আমাদের ঘরে ঘরে সবাই নারায়ণ পূজা করে।