logo
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৪৮
নববর্ষ-১৪২৯
জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়েমুছে শুরু হোক নতুন বছরের যাত্রা
নিজস্ব প্রতিবেদক

জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়েমুছে শুরু হোক নতুন বছরের যাত্রা

অতীতের সব জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়েমুছে, দুঃখ-কষ্ট-ব্যথা ভুলে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে এবং নতুন ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের শপথ নিয়ে শুরু হোক নতুন বছরের যাত্রা

বাঙালি জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম উৎস পহেলা বৈশাখ। শুভেচ্ছা বিনিময় এবং দিনটিকে উদযাপনের নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ বাঙালির জীবনে একটি অনন্য ঘটনা। আমাদের আত্মপরিচয়ের শিকড় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং গেয়ে উঠি কবিগুরুর সেই গান, `এসো হে বৈশাখ, এসো তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক।
 
অতীতের সব জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়েমুছে, দুঃখ-কষ্ট-ব্যথা ভুলে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে এবং নতুন ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের শপথ নিয়ে শুরু হোক নতুন বছরের যাত্রা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবর্ণ সময়ে ১৪২৯ বর্ষকে স্বাগত জানানোর আনন্দ অসাধারণ এক অনুভূতি।
 
বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল অর্থনীতি, উদীয়মান টাইগার, মধ্যআয়ের দেশ ও সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের উন্নত রাষ্ট্রের রূপকল্প বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পাথেয়।
 
পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলসহ ডজনের বেশি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এক অনন্য অবস্থানে আছে। এই উন্নয়নকে টেকসই এবং আরো অর্থবহ করার জন্য প্রয়োজন বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত সংস্কৃতি হোক আমাদের পথচলা ও আত্মপরিচয়ের আধার।
 
বাংলা নববর্ষ বয়ে আনুক প্রতিটি বাঙালির জীবনে মঙ্গল, কল্যাণ ও শান্তির বারতা।
 
লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য