logo
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৫১
নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন রুট
ক্রীড়া ডেস্ক

নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন রুট

ব্যাট হাতে তার ফর্ম নিয়ে চিন্তা ছিল না কখনো। ২০২১ সালেও করেছেন রেকর্ড ১৭০৮ রান। ব্যক্তিগতভাবে তার ব্যাট থেকে রানের দ্যুতি ছুটলেও টেস্ট ক্রিকেটে দলগতভাবে সাফল্য পাচ্ছিল না ইংল্যান্ড। তাই গত কয়েক মাসে বারবার জোরালো হয়েছে জো রুটকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর দাবি। শেষ পর্যন্ত সে দাবি বাস্তবে রূপ নিল। নিজ থেকেই ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন রুট। শুক্রবার ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) কর্তৃক প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি।

প্রায় ৫ বছর ইংল্যান্ড টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন রুট। তার অধীনে ইংলিশরা ৬৪ টেস্ট ম্যাচে ২৭ জয় ও ২৬ হার দেখেছে। ইংল্যান্ডের হয়ে আর কোনো অধিনায়কের এত বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব, এত বেশি জয় কিংবা পরাজয়ের রেকর্ড নেই। তবে শেষ ১৭ টেস্টে মাত্র একটি জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। এ কারণেই মূলত লাগাতার চাপ আসতে থাকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে। তাই এবার জরুরি ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিলেন সময়ের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটার। নিজের বিবৃতিতে রুট বলেছেন, ‘ক্যারিবীয় সফর থেকে ফেরার পর আমি চিন্তা করার সময় পেয়েছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর। আমার পুরো ক্যারিয়ারে এটিই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত। তবে আমার কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

রুট আরো বলেন, ‘আমার দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। গত ৫ বছরে আমি যা পেয়েছি, তার জন্য আমি গর্বিত। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি ছিল গৌরবের। আমি দেশকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করি। তবে সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনা আমার খেলায় বিরূপ প্রভাব ফেলছিল। এ কারণে আমি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। অধিনায়কত্ব ছাড়লেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়ার কথা জানান রুট। দলের সহ-অধিনায়ক বেন স্টোকসের কাঁধে উঠতে পারে অধিনায়কের দায়িত্ব। এছাড়া ররি বার্নস, স্টুয়ার্ট ব্রড কিংবা জস বাটলাররাও থাকছেন নতুন অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে। তবে নতুন অধিনায়ক যেই হন না কেন, তাকে যথার্থ সহযোগিতা দিতে তিনি প্রস্তত বলে জানান।

২০১৭ সালে অ্যালিস্টার কুক নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর রুট দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় করে। দেশের মাটিতে এ সিরিজ জয়ের পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়েতে সিরিজ জয় করেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় লজ্জার হারে ডুবতে হয় তাকে। ০-৪ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কাছেও হেরে যায় তার দল।